পূর্ব শত্রুতার জেরে ছাত্রাবাসে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা | বিবিধ নিউজ

পূর্ব শত্রুতার জেরে ছাত্রাবাসে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ছাত্রাবাসে ঢুকে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা। বগুড়া শহরের জহুরুল নগর এলাকার একটি ছাত্রাবাসে পূর্ব শত্রুতার জেরে ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা ফিরোজ মিয়া খুন হয়েছেন। নিহত ফিরোজ বগুড়া পৌরসভা এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ফিরোজের দুই বন্ধু।[i

ছাত্রাবাসে ঢুকে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা। বগুড়া শহরের জহুরুল নগর এলাকার একটি ছাত্রাবাসে পূর্ব শত্রুতার জেরে ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা ফিরোজ মিয়া খুন হয়েছেন। নিহত ফিরোজ বগুড়া পৌরসভা এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ফিরোজের দুই বন্ধু।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম জানান, মঙ্গলবার জহুরুল নগর এলাকার মাহী ছাত্রাবাসে ফিরোজ মিয়াসহ চার জন তাস খেলছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৮ থেকে ১০ জন যুবক অতর্কিতে ছাত্রাবাসে ঢুকে তাদেরকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। শেষে হামলাকারীরা সটকে পড়লে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ফিরোজ এবং তার দুই বন্ধু ইমরান ও মশিউরকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফিরোজকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দু'জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
 
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা পূর্ব শত্রুতার জেরেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ফিরোজ মিয়া ২০১৮ সালে চকসুত্রাপুরে শাকিল হোসেন ওরফে বি-ক্লাস শাকিল হত্যামামলার আসামি বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন জানান, শাকিল হত্যা মামলার পর থেকেই ফিরোজ যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বরাবরই অনুপস্থিত থেকেছেন। স্থানীয় যুবলীগে রাজনৈতিক কোনো বিরোধ নেই। তাই তাদের ধারণা, ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।