পেনশন সমর্পণকারীর পরিবার - দৈনিকশিক্ষা

পেনশন সমর্পণকারীর পরিবার

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

পেনশনভোগী মারা গেলে তাঁর স্ত্রী পেনশনসহ স্বামীর সকল প্রাপ্য আজীবন পাবেন—এটাই নিয়ম। কিন্তু একজন পেনশন সমর্পণকারীর মৃত্যু হলে এতদিন তাঁর স্ত্রী কিছুই পেতেন না। এখন কিছু কিছু পান। কিন্তু না-পাওয়ার পাল্লাটাই ভারী।বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন ওয়াহিদুল ইসলাম আখন্দ।

১) ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি মাসিক চিকিৎসা ভাতা এবং বছরে দুটি উৎসব ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু কোনো সরকারি প্রজ্ঞাপন বা পরিপত্রের নির্দেশ ছাড়াই কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান (যেমন অগ্রণী ব্যাংক) বিধবার বয়স অনুযায়ী তাঁর উৎসব ও চিকিৎসা ভাতা কম পরিশোধ করছে। অন্যদিকে পরিপত্রে উলে­খ নাই অজুহাতে তাঁদের উৎসব ভাতায় বার্ষিক ৫% হারে ইনক্রিমেন্ট দিচ্ছে না।

২) সরকার ১৪২৪ বঙ্গাব্দ থেকে পেনশন সমর্পণকারীদের নববর্ষ ভাতা দিচ্ছে। মৃতদের পরিবার (বিধবা স্ত্রী/ বিপত্নীক স্বামী)-কে তা দেওয়া হচ্ছে না। বলা হচ্ছে সংশি­ষ্ট পরিপত্রে তাদের কথা উলে­খ নাই। এ সংক্রান্ত পরিপত্রটি চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা দেওয়া সংক্রান্ত পরিপত্রের আগে জারি করা বিধায় তা বলার অবকাশ ছিল না। চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা দেওয়া হলে এটি না দেওয়ার কারণ থাকতে পারে না।

৩) সর্বশেষ বঞ্চনার ঘটনা পেনশনে পুনঃস্থাপনকে কেন্দ্র করে। অবসর গ্রহণের ১৫ বছর পর একজন পেনশন সমর্পণকারী আবার পেনশন পাচ্ছেন। কিন্তু এর মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকলে তাঁর বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী পেনশন পাবেন কি না তা উলে­খ না থাকায় তাঁরা পেনশন বঞ্চিত। যদিও পেনশন তাদেরই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এতদসংক্রান্ত ৮-১০-২০১৮ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে, আদেশটি ১-৭-২০১৭ তারিখ থেকে কার্যকর হবে। অগ্রণী ব্যাংকের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ১-৭-১৭ তারিখ থেকেই যোগ্যতা অর্জন করে ব্যাংকের পরিপত্র জারি হতে বিলম্ব হওয়ায় ৯ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে আবেদন করে তার পরদিনই মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে পেনশন দেওয়া হয়নি। অন্য এক কর্মকর্তা পেনশনে পুনঃস্থাপনের পর মৃত্যুবরণ করায় তাঁর স্ত্রীকে বলা হয়েছে যে, যেহেতু পরিপত্রে বলা হয় নাই সেহেতু তিনি পেনশন তো পাবেনই না, অন্য বিধবাদের মতো তিনি চিকিৎসা ও উৎসব ভাতাও পাবেন না। নিয়মানুযায়ী একজন পেনশনারের মৃত্যু হলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী মৃতের প্রাপ্য পেনশন এবং সকল ভাতা পাওয়ার কথা। এ ব্যাপারে সংশি­ষ্ট সকল সরকারি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 

৫৭০/১- বি, সেনপাড়া-পর্বতা, ঢাকা ১২১৬

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে - dainik shiksha তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত - dainik shiksha বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00677490234375