পোশাকবিধি না মানায় দুই শিক্ষককে অব্যাহতি, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন | কলেজ নিউজ

পোশাকবিধি না মানায় দুই শিক্ষককে অব্যাহতি, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

‘টুপি ও পাঞ্জাবি পরে নিয়মিত ক্লাসে আসায় চাকরিচ্যুত হয়েছেন সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষক।’ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দেয় ক্ষোভ। শনিবার সকালে কলেজের সামনে প্রতিষ্ঠানের

‘পোশাকবিধি না মানায় চাকরিচ্যুত হয়েছেন সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষক।’ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দেয় ক্ষোভ। শনিবার সকালে কলেজের সামনে প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। তারা দুই শিক্ষককে ফের কলেজে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, টুপি-পাঞ্জাবি পরার কারণে নয় বরং, বারবার বলার পরও প্রতিষ্ঠানের পোশাকবিধি না মানায় তাদের স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে বলা হয়েছে।

জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই পোশাকবিধি মেনে আসছিল। করোনার আগেও সবার ক্ষেত্রে পোশাকবিধির বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ক্লাস না থাকায় বিষয়টি কিছুটা শিথিল ছিল। এমন সময় একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা পোশাকবিধি না মেনে নিজেদের ইচ্ছামতো পোশাক পরে কলেজে আসা শুরু করেন। ফলে সম্প্রতি পোশাকবিধির বিষয়ে ফের কড়াকড়ি আরোপ করে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে অন্য সব শিক্ষক পোশাকবিধি অনুসরণ করলেও মানতে নারাজ পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হালিম ও আইসিটি বিভাগের প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলাম। এ অবস্থায় তাদের বারবার শোকজ নোটিশ পাঠানো হলেও পাত্তা দেননি তারা। পরে গভর্নিং বডির একটি সভায় পোশাকবিধি না মানলে নিজ ইচ্ছায় অব্যাহতি নিতে পারেন বলে ওই দুই শিক্ষককে জানানো হয়। এর পরই টুপি ও পাঞ্জাবি পরে নিয়মিত ক্লাসে আসায় তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

তবে প্রভাষক আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, আমি ও প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলাম নিয়োগের সময় পাঞ্জাবি-টুপি পরে কলেজে আসার জন্য আবেদন করি। সাবেক অধ্যক্ষ আমাদের তখন অনুমতি দেন। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ পোশাকবিধি মানার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এমন অবস্থায় অনেকে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মানতে পারলেও আমরা তা মানতে পারিনি। তাই গভর্নিং বডি থেকে আমাদের মৌখিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দুপুরে কলেজের সামনে মানববন্ধনকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আরিফুল ইসলাম রেজা বলেন, অনলাইনে যে বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে তা সত্যি নয়। প্রভাষক আব্দুল হালিম ও মুজাহিদুল ইসলামের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বা তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়নি। ৩১ মার্চ গভর্নিং বডির মিটিংয়ে তাদের ডেকে বলা হয়-প্রতিষ্ঠানের পোশাকবিধি না মানলে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিতে পারেন।