প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়া বায়েজিদ ‘এ’ ইউনিটে প্রথম - দৈনিকশিক্ষা

প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়া বায়েজিদ ‘এ’ ইউনিটে প্রথম

রাবি প্রতিনিধি |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ সেশনের প্রথম বর্ষের ফল প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ অাগস্ট) রাতে এই ফল প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রক্সি দিতে এসে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বায়েজিদ প্রথম হয়েছে।

এদিকে, প্রক্সিতে ধরা পড়ার পরও ফল প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা বলছেন, এটি পরীক্ষা কমিটির ব্যর্থতার প্রমাণ।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা এক নারীসহ চার জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের  কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন রাবির ফোকলোর বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বায়েজিদ। তিনি তানভীর নামে এক শিক্ষার্থীর হয়ে গ্রুপ-২-এ প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়েন। তার রোল নম্বর ছিল ৩৯৫৩৪। তবে মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত ফলে দেখা যাচ্ছে ওই রোল নম্বরধারী গ্রুপ-২-এ প্রথম হয়েছে।

প্রক্সি দিতে এসে আটক হওয়ার পরও ফল প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে এ ইউনিটের পরীক্ষা কমিটির সমন্বয়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। এ কারণে বৈধ ওএমআর থাকায় আমি এটির রেজাল্ট করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে ধরা পড়েছিল তার বৈধ ওএমআর শিট থাকার পরেও রেজাল্ট হয়নি। কারণ বিষয়টি আমার জানা ছিল। কিন্তু তানভীর আহমেদের বিষয়টি আমরা জানা ছিল না।’  

প্রক্সি প্রমাণ হওয়ার পরও ফল প্রকাশের মাধ্যমে পরীক্ষা কমিটি তাদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকরা। ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর খাতা সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হওয়া উচিত ছিল। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন  করেনি। ওই শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশের মাধ্যমে পরীক্ষা কমিটির ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।’

নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ বলেন, ‘সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে বেশ সর্তক থাকে। তারপরেও যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে এটি বড় ভুল। কারণ একটি ছেলে প্রক্সি দিতে এসে যখন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়, তখন এটি প্রমাণিত যে সে প্রক্সি দিয়েছে। তার মানে তাৎক্ষণিক ওই পরীক্ষার্থীর ‍উত্তরপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এটি ভর্তি পরীক্ষা কমিটির জন্য জন্য বড় ব্যর্থতা।’ 

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি মাত্র শুনলাম। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানই এ বিষয়ে ভালো উত্তর দিতে পারবেন।’

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.006382942199707