ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা কম নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। ফেসবুকে বিভিন্ন নামে অ্যাকাউন্ট খুলে তারা এসব প্রলোভন দেখায়। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে কৌশলে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকা। ঢাবি কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নেমে চক্রের হোতা মাসুম রানা রনি ও তার সহযোগী আব্দুর রহিম সাদেককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এ অভিযান চালানো হয়। র্যাব-৩ সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন অভিযোগ করে যে, সংঘবদ্ধ কয়েকটি প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। প্রলোভনে পড়ে বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের টাকাও দিয়েছেন। পরে তারা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ঢাবি প্রশাসনকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানালে কর্তৃপক্ষ র্যাব-৩ এর টিকাটুলি ক্যাম্পে অভিযোগ করে। অনুসন্ধানে নেমে প্রতারণার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর মঙ্গলবার রাত ১১টায় ব্রাহ্মবাড়ীয়ার কলেজপাড়ায় অভিযান চালিয়ে মাসুম রানা রনি এবং হবিগঞ্জের চুনারঘাট থানা এলাকা থেকে অপর আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, নগদ এক হাজার ২০০ টাকা জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অকৃতকার্য ও কম নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের ফল পাল্টানোর কথা বলে অর্থ হাতিয়ে আসছে। এজন্য তারা বারবার নাম-ঠিকানা বদলে নতুন আইডি খুলে প্রতারণা চালায়।
এ ধরনের প্রতারণায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব।