প্রথম দফায় মাদরাসার ৭ হাজার শিক্ষার্থী টিকার আওতায় আসছে - দৈনিকশিক্ষা

প্রথম দফায় মাদরাসার ৭ হাজার শিক্ষার্থী টিকার আওতায় আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচির শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। প্রথমে রাজধানী ঢাকার শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধী টিকা পাবে মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও। ইতোমধ্যে রাজধানীর ৬৮টি মাদরাসার ১২ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইসিটি মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এদের মধ্যে সাত হাজার শিক্ষার্থীর তথ্য সঠিক আছে। প্রথম দফায় রাজধানীর মাদরাসাগুলো থেকে সঠিক তথ্য পাঠানো এ সাত হাজার শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। আর অপরদিকে সারাদেশের ৪০টি জেলা থেকে শিক্ষার্থীদের টিকার তথ্য মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের হাতে এসে পৌঁছেছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।

গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে রাজধানীর শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলা, ইংরেজি, মাদরাসাসহ সকল মাধ্যমের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। শুরু হওয়া টিকা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না। সমস্যা হলেও তাদের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্কুল শিক্ষর্থীদের সঙ্গে মাদরাসার সাত হাজার শিক্ষার্থী খুব শিগগিরই টিকার আওতায় আসছে। ইতোমধ্যে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের টিকা পেতে রেজিস্ট্রেশন করার নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। মাদরাসার শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রাজধানীর ৬৮টি মাদরাসার ১২ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থীর তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও ৭ হাজার শিক্ষার্থীর তথ্য সঠিক পাওয়া গেছে। এসব শিক্ষার্থী জন্মনিবন্ধনের তথ্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। আর যেসব শিক্ষার্থীর ভুল তথ্য এসেছে তাদের তথ্যও পাঠাতে বলা হয়েছে মাদরাসাগুলোকে। 

আর ইতোমধ্যে সারাদেশের ৪০টি জেলার মাদরাসা শিক্ষার্থীদের তথ্য অধিদপ্তরে এসে পৌঁছেছে। সব জেলার শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের পর সুরক্ষা ওয়েবসাইটে অর্ন্তভুক্ত করা হবে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম গতকাল সোমবার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা রাজধানীর ৬৮টি মাদরাসার ১২ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থীর তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইসিটি মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছি। সেসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাত হাজার শিক্ষার্থীর তথ্য সঠিক পাওয়া গেছে। এসব শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এসএমএস পাঠানো হবে। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। শিগগিরই মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও টিকার আওতায় আসবে। 

তিনি জানান, সব শিক্ষার্থীকেই টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মধ্য প্রথমে রাজধানীর সাত হাজার সঠিক তথ্য পাওয়া শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। আর পর্যায়ক্রমে অন্য শিক্ষার্থীরাও টিকার আওতায় আসবে। 

উপপরিচালক বলেন, মাদরাসা  শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে আমরা সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি। এখন পর্যন্ত ৪০ জেলার তথ্য অধিদপ্তরে এসেছে। সেগুলো আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। 

ভুল তথ্য দেওয়া মাদরাসা শিক্ষার্থীদেরও সঠিক তথ্য দিতে বলা হয়েছে। উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম দৈনিক আরও বলেন, রাজধানীর যেসব শিক্ষার্থীর তথ্য ভুল পাওয়া গেছে তাদের পুনরায় সঠিক তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। সঠিক তথ্যগুলো আমরা পাঠাবো, তথ্য অন্তর্ভুক্ত হলে শিক্ষার্থীরা টিকার নিবন্ধন করতে পারবেন। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (লিংক যাবে) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034670829772949