কেরানীগঞ্জের স্কুলছাত্র আবদুল্লাহ হত্যার বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা মোতাহার হোসেন দেশের যে প্রান্তে থাকুন না কেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামে নিহত আবদুল্লাহর বাসায় গিয়ে এমন প্রতিশ্রুতি দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
প্রতিমন্ত্রী বাসায় গেলে আবদুল্লাহর মা-বাবা ও গ্রামবাসীরা তাঁর কাছে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান। প্রতিমন্ত্রী তাঁদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি এখানে এসেছি। অতি দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের উপযুক্ত বিচার হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। বাংলাদেশের মাটিতে এ হত্যায় জড়িতদের বিচার হবেই। এ ঘটনায় হওয়া মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ (মনিটরিং) করছে।
এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল হোসেন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে কেরানীগঞ্জের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহকে অপহরণ করা হয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ আবদুল্লাহর মায়ের মামা মোতাহার হোসেনের বাড়ির দুই তলার একটি প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে আবদুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে। মোতাহার পলাতক থাকলেও তাঁর ছেলে মেহেদী হাসান, মেয়ে মিতু আক্তার এবং প্রতিবেশী খোরশেদ মিয়া ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মেহেদী সাত দিনের ও বাকি তিনজন পাঁচ দিনের করে রিমান্ডে আছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাধানন্দ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মোতাহারসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে আবদুল্লাহর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জের মুগারচর গ্রামের বাসিন্দারা ও আবদুল্লাহর স্কুলের শিক্ষার্থীরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।