কাপাসিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কপালেশ্বর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসাইনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর টাকা আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের একাধিক লিখিত অভিযোগ করেন ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সোহেল রানা, শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আফজাল হোসাইন ২০১২ সালের ২৬ জুলাই যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি নবায়নসহ বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের তহবিল থেকে ভুয়া তথ্য ও অনুমোদনবিহীনভাবে অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম তান্ত্রিক কার্যকলাপ করছেন। বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি জন্য যেখানে ৫ হাজার টাকা লাগে সেখানে প্রধান শিক্ষক ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে দেখিয়েছেন এবং ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয় প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসাইন জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্র ও সনদপত্র দেওয়ার জন্য ছাত্রপ্রতি ৪শ টাকা করে আদায় করা হলেও তা আয়-ব্যয়ের খাতায় উল্লেখ না করে আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসাইন বলেন, বিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ে আমি একটু চাপে আছি। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ছাত্রপ্রতি ৬শ টাকা ফেরত দিয়ে দেব।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সোহেল রানা বলেন, আমি চাই আমার অভিযোগের বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য প্রকাশিত হবে ও অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপার বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ও কর্মচারী স্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি যেন ব্যাংক রশিদের মাধ্যমে টাকাগুলো ফেরত দেয়।
এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম সরকারের সঙ্গে তিনি বলেন, দুই পক্ষকেই ইউএনও অফিসে ডাকা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।