প্রশংসাপত্র নিতে শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে টাকা! - দৈনিকশিক্ষা

প্রশংসাপত্র নিতে শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে টাকা!

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি |

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রশংসাপত্র নিতে শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে টাকা। টাকা ছাড়া মিলছেনা প্রশংসাপত্র। এদিকে প্রশংসাপত্র দিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিধান না থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ সে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না। প্রশংসাপত্র দেয়ার সময় রশিদ দিয়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা করে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদায় করছেন। টাকা দিতে না পারলে বা অস্বীকার করলে শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। কিন্তু মিলছে না এর কোনো প্রতিকার।  

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মাধ্যমিক ও সংযুক্ত উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯টি, ৯টি দাখিল মাদরাসা ও ৪টি সংযুক্ত আলীম-ফাযিল মাদরাসা, ৯টি ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৪১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতি বছরই এই সব প্রতিষ্ঠান থেকে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। প্রচলিতভাবে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ভর্তির জন্য  শিক্ষাবোর্ড প্রদত্ত নম্বর পত্রের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশংসা পত্রের প্রয়োজন হয়। দেশে করোনাভাইরাসের কারণে দেরিতে হলেও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও বোর্ড জানিয়েছে মহামারী বিবেচনায় চলতি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা দেরিতে প্রাশংসাপত্র জমা দেয়ার সুযোগ পাবেন।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বোর্ডের দেয়া নম্বর পত্রের পাশাপাশি প্রশংসাপত্র নিতে গেলে শিক্ষার্থী প্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে রশিদ দিয়েই আদায় করা হচ্ছে এ টাকা। আবার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  প্রশংসাপত্রে আদায়কৃত টাকার রশিদ দেয়া হচ্ছে না। তবে, টাকা ছাড়া মিলছে না প্রশংসাপত্র। কিন্তু টাকা দিয়ে প্রশংসাপত্র নেয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। একইসাথে এর প্রতিকার দাবি করেছেন।

সরকারি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পূর্বের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ীরশিদ দিয়েই ৫০০ টাকা করে গ্রহণ করা হচ্ছে। 

অষ্টমনিষা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনছার আলী বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক প্রশংসাপত্র দেয়ার সময় শিক্ষার্থী প্রতি ৫০০ টাকা রশিদ দিয়ে নিচ্ছেন। সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেও উল্লেখ করেন। 

অপরদিকে পাটুলী পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি, তবে পূর্বের প্রধান শিক্ষকের নিয়মানুযায়ী বর্তমানে রশিদের মাধ্যমে প্রতি প্রশংসাপত্রের জন্য ৫০০ টাকা করে গ্রহণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রশংসা পত্র দিতে টাকা নেয়া যাবে না। এটি এক ধরণের অন্যায় কাজ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0063269138336182