প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মৌলভীবাজারে আটক ১ - দৈনিকশিক্ষা

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মৌলভীবাজারে আটক ১

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি |

চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মুন্না আহমেদ নান্নু নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে মৌলভীবাজারে বড়লেখা থানার দাসের বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ।

আটক মুন্না বড়লেখা থানার মাইজগ্রাম গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে।

রোববার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হল রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশনুজ্জামান সিদ্দিকী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) খন্দকার আশফাকুর রহমান, ও ডিবি ওসি মো. মারুফ হোসেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ ঢাকার হেড কোয়ার্টার্সের সহযোগিতায় গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী ফেসবুকে একটি ফেইক আইডির মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে মুন্না আহমেদ নান্নুর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। সে ফেসবুকে এসকে আব্দুল আলম নামে ফেইক আইডির মাধ্যমে চলতি এসএসসি পরীক্ষার ঢাকা বোর্ডের বাংলা ২য় পত্র ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিল।

প্রেস বিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আটক মুন্না জানান, তিনি বিয়ানীবাজার ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্র। ফেসবুকে নাইম রহমান ও আরিফুল ইসলাম নামে দুইজনের তার সঙ্গে পরিচয় হয়। ফেসবুক বন্ধুত্বের সুবাধে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে টাকা রোজগারের লোভনীয় অফার আসে। তারা মুন্নার কাছে ফোনে ও ফেসবুকে এ অফার দেন। মুন্না তাদের কথা মত রাজী হলে তারা ওই ফেইক গ্রুপ আইডিতে তাকে এডমিন করেন। মুন্না ওই গ্রুপ আইডির ১৮ নম্বর এডমিন ছিলেন।

পরীক্ষার ১ ঘণ্টা, আধঘণ্টা কিংবা আগের দিন রাতে ওই বিষয়ের প্রশ্নপত্র টাকার বিনিময়ে ওই গ্রুপের সদস্যদের হাতে পৌঁছাতেন তারা। আর টাকা লেনদেন হত বিকাশের মাধ্যমে। প্রতিটি প্রশ্ন বাবদ ১ হাজার থেকে ১৫শ’ টাকা নিলেও ওদের ওই টাকার অর্ধেক দিতেন তিনি।

অনেক সময় প্রশ্ন হাতে পেয়েও কথা মত অনেকেই টাকা বিকাশে পাঠায়নি। কোন প্রশ্ন থাকতো হাতে লিখা আর কোনটি থাকতো প্রিন্ট। তবে সব প্রশ্ন ঠিক থাকতোনা। তারপরও থেমে থাকতো না তাদের এই কার্যক্রম। মুন্না ওই ফেইক গ্রুপ আইডির এডমিনদের কাউকে চিনতোনা বলে জানান।

তার এই কার্যক্রম জাতিকে মেধাশূন্য করার মত ঘৃণ্য অপরাধ কি না এমন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করে বলেন, ‘আমি আমার অপরাধ বুঝতে পেরেছি। এখন আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাই।’

পুলিশ জানায়, এই চক্রের হোতাদের ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক মুন্নার কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলেও পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এখন তা প্রকাশ করছে না। তবে খুব শিগগির পুলিশ অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হবে বলে আশাপ্রকাশ করে।

ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে - dainik shiksha ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! - dainik shiksha ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! যৌন হয়রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি - dainik shiksha যৌন হয়রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল - dainik shiksha জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল অভিযুক্ত শিক্ষা সাংবাদিকদের পক্ষে জোর তদবির - dainik shiksha অভিযুক্ত শিক্ষা সাংবাদিকদের পক্ষে জোর তদবির কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে যৌ*ন হয়*রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি - dainik shiksha যৌ*ন হয়*রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00347900390625