নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংস্কার চান নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষার্থীরা - দৈনিকশিক্ষা

নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংস্কার চান নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষার্থীরা

রুম্মান তূর্য |

এনটিআরসিএ-এর নিয়োগ শুনেছি শুভাঙ্করের ফাঁকি, অনেক কষ্ট করে পরীক্ষা দিচ্ছি কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না, আশা করি নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হবে এমনসব মন্তব্যে নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কারের দাবি তোলেন করেন। রাজধানীর ইস্কাটনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে চতুর্থ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মৌখিক নেয়া হচ্ছে। রোববার (১ জুলাই) ৬ষ্ঠ দিনের মৌখিক হয়। 

৮টি ভাইভা বোর্ড ৬ষ্ঠ দিনের মত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। রোববার নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪০০ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে দৈনিক শিক্ষার কাছে ভাইভা বোর্ডের অভিজ্ঞতা বর্ননা করেন প্রার্থীরা।

ফাইল ছবি

শরিয়তপুর থেকে আসা স্কুল পর্যায়ের প্রার্থী রণি আহমেদের কাছে মৌখিক পরীক্ষা সম্পর্কে জানান, “অনেক কষ্ট করে পরীক্ষা দিচ্ছি কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না। আশা করি নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হবে।” 

ভাইভাবোর্ড কি জিজ্ঞেসা করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কিছু ট্রান্সলেশন জিজ্ঞেসা করেছেন। ন্যারেশন ও ভয়েস চেঞ্জ জিজ্ঞেসা করেছেন। সাহিত্য থেকে তেমন কিছু জিজ্ঞেসা করা হয়নি।” 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রার্থী বলেন, “একাধিকবার নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়েছি। এনটিআরসিএ-এর নিয়োগ শুনেছি শুভাঙ্করের ফাঁকি। এমন অবস্থার সংস্কার আশা করছি।” 

গাইবান্ধা থেকে আসা আবু তায়েব মিয়া বলেন,“ আমার নিজের সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। নিজ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। লিটারি টার্ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।”

ঝিনাইদহ থেকে স্কুল পর্যায়ের প্রার্থী মোঃ টিপু সুলতান জানান,“দ্যা ওয়েস্টল্যান্ডের লেখক কে জানতে চেয়েছেন। এ ওয়েস্টল্যান্ড কোথায় অবস্থিত জানতে চেয়েছেন। এছাড়া ইংরেজিতে নিজের সম্পর্কে বলতে বলেছেন।”

স্কুল পর্যায়ে সাভার থেকে আসা প্রার্থী লামিয়া বলেছেন,“ইংরেজি সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। এছাড়া আমার একাডেমিক জীবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। গ্রামার থেকে তেমন কিছু জানতে চাননি।” 

কুমিল্লা জেলা থেকে আসা স্কুল পর্যায়ের প্রার্থী হালিমা আক্তার বলেন,“আমার নিজ কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এছাড়া সাউথ এশিয়া ও আফ্রিকায় ইংরেজি সাহিত্যের প্রসার সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করেছেন।”

নারায়নগঞ্জ থেকে আসা শাহাদাত হোসেন বলেন, “গ্রামার এবং সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। গ্রামারের ব্যতিক্রম নিয়মগুলো জানতে চেয়েছেন। ‘পয়েট অফ নেচার’ কাকে বলা হয় জানতে চেয়েছেন।”

গাজিপুর থেকে আসা স্কুল পর্যায়ের মোঃ  নসিমউদ্দিন বলেন,“বিভিন্ন আধুনিক কবিদের সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করেছেন। রবার্ট ফ্রস্ট সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এছাড়া ভিক্টোরিয়ান যুগের সাহিত্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। গ্রামার থেকে ট্রান্সলেশন ও ভয়েস করতে দিয়েছেন।”

ঢাকা জেলার প্রর্থিী মোঃ আব্দুস সালাম জানান,“একটি বাক্যকে সিম্পল থেকে কমপ্লেক্স ও কমপ্লেক্স থেকে কমপাউন্ডে  ট্রান্সফর্ম করতে বলেছেন।  কি ভাবে আমি শিক্ষার্থীদের পাঠ দেব তা ইংরেজিতে বলতে বলেছেন। এছাড়া আমি কোথায় পড়ালেখা করেছি ও আমার শিক্ষাজীবণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।”

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে রত্না আক্তার জানান, “ফাইনেট ননফাইনেট ভার্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করেছেন। কন্ডিশনাল সেন্টেন্স সম্পর্কে বলতে বলেছেন। আমার শিক্ষা জীবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। সাহিত্য থেকে আমাকে কিছু জিজ্ঞেসা করা হয়নি।”   

স্কুল পর্যায়ে ভোলা তেকে আসা রাকিব ঞাসান জানান, “মূলত গ্রামার থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। সাহিত্য থেকে কিছু জিজ্ঞেসা করা হয়নি। আমি গতবার ১৩তম নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়েছিলাম। গতবার সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো। ভয়েস, ন্যারেশন, ট্রান্সফর্মেশন থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে।”

স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036320686340332