প্রশ্নফাঁসে জড়িত সেই প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত | স্কুল নিউজ

প্রশ্নফাঁসে জড়িত সেই প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন খালিদকে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ৪ মে ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন খালিদকে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৪ মে ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সহ. প্রধান শিক্ষক রহমতউল্লাহকে।

জানা যায়, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন বাবদ অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে শিক্ষক হুমায়ুন খালিদ বলেন, প্রতিহিংসার কারণে কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই তারা এ কাজ করেছে। যে সভায় আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে সে সভায় মাত্র চারজন সদস্য উপস্থিত ছিল, যা সভার কোরাম হয়নি। প্রশ্নফাঁসে স্কুলের সভাপতি ও অন্যান্য শিক্ষকরাও জড়িত ছিল।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস্কান্দার হক বলেন, আমার মুখ নাকি প্রধান শিক্ষক দেখবেন না। তাই সে বিদ্যালয়ে আসে না। তাছাড়া প্রশ্নফাঁস করে সে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে।

তিনি বিদ্যালয়ের অথর্ও আত্মসাৎ করেছেন।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামসুল হক বলেন, বহিষ্কার আদেশের কপি এখনো আমি পাইনি। তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি ফোনে আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।

উল্লেখ্য, এ বছর এসএসসি পরীক্ষার গণিত প্রশ্নফাঁসের সময় উপজেলার সাগরদিঘী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলামের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন এই শিক্ষক। সে সময় তদন্ত কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছিলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট আগেই দপ্তরির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক প্রশ্নফাঁস করত। প্রশ্নফাঁসে প্রতি পরীক্ষার্থী বাবদ ২৫ হাজার টাকার প্যাকেজ ছিল। এ কাজের সাথে শুধু সে একা নয় কেন্দ্রের অন্যান্য কর্মকর্তারাও জড়িত।