ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক সেবন করানোসহ ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষার এবছরের কার্যক্রম আগামী ২ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওজন, উচ্চতা এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষা করা এবং কৃমিনাশক সেবন করানো হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল ও কৃমিনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক সেবন করানোসহ ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রতিবছর দুইবার (মার্চে একবার ও সেপ্টেম্বরে একবার) শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এবছর প্রথম দফার স্বাস্থ্য পরীক্ষা আগামী ২ মার্চ শুরু হয়ে ৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র।
সূত্র আরও জানায়, যেসব বিদ্যালয়ে ক্ষুদে ডাক্তার টিম গঠন করা হয়নি সেসব বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার আগেই ক্ষুদে ডাক্তার টিম গঠন করতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দেয়া চিঠিতে আগামী ২ মার্চ থেকে ৭ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের। এছাড়া টিম গঠন করা হয়নি এমন বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনার আগেই ক্ষুদে ডাক্তার টিম গঠন নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্র না থাকলে স্লিপ পরিকল্পনার আওতায় একটি করে ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র, প্রতিশ্রেণির জন্য একটি উচ্চতা মাপার ফিতা এবং একটি করে আই চার্ট সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পিটিআইয়ের পরীক্ষণ বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়, রক্স পরিচালিত আনন্দ স্কুলসহ সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এ কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে। ক্ষুদে ডাক্তারদের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী ঝড়ে পড়া শিশুদেরও বিদ্যালয়ে এনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট ফরমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার তথ্য পূরণ করে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের।