প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় ধাক্কা রাজ্যের। শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মেধা তালিকায় গরমিল এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন চাকরিরপ্রার্থীরা। তার শুনানি করতে গিয়েই সোমবার প্রথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাথতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এমনকি মেধাতালিকা প্রকাশেও যথেষ্ট অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, মেধাতালিকা প্রকাশেও নিয়ম মানা হয়নি। তাই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখাই শ্রেয়। সোমবার সেই মামলার শুনানি করতে গিয়েই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ভূরি ভূরি দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ চলছে বলে অভিযোগ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁদের অভিযোগ ছিল,, ২০১৪-র টেট-এর ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা ভুলে ভরা এবং দুর্নীতির অভিযোগ স্পষ্ট। খাদ্য দফতরের নিয়োগেও একই ছবি। আবার হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের প্রকাশিত শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগের তালিকায় এক মন্ত্রীর পরিবারের জন্য ‘বেনজির স্বজনপোষণ’ করা হয়েছে।
চিঠিতে মান্নান ও সুজনবাবু লেখেন, ‘নেতাদের ইচ্ছায় ও ঘনিষ্ঠতায় যে ভাবে মেধা তালিকাকে মূল্যহীন করার চেষ্টা চলছে, তার মধ্যে দিয়ে রাজ্যের সাধারণ কর্মপ্রার্থীদের অধিকার প্রতিদিন খর্ব হচ্ছে’।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা