প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে সহযোগিতা আবশ্যক - দৈনিকশিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে সহযোগিতা আবশ্যক

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বর্তমান সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধনে সক্ষম হয়েছে। সব মহলের মতামত নিয়ে সমগ্র জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০১০ প্রণয়ন, জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন করেছে। আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে জড়িত। ৫ থেকে ১০ বছরের এসব কচিমুখের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কর্ণধার। এরাই আমাদের আলোর দিশারী। প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু হয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে গিয়ে শেষ হওয়া এই শিক্ষাক্রমের ধারাবাহিকতায় সুনিপুণভাবে সন্নিবেশ করা আছে পাঠ্যক্রম ও মূল্যায়ন। শিশুর বয়স, মেধা বয়স, অভিরুচির ওপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞ গবেষক দ্বারা তৈরি এসব শিক্ষা নীতি পাঠক্রমে সন্নিবেশিত। শিশু শিক্ষার্থী সহজেই মুগ্ধ হতে পারে সে মতো সাজানো আছে ধাপে ধাপে। আকর্ষণীয় এবং সহজবোধ্য এসব পাঠ্যক্রম শিশু শিক্ষার্থীদের নান্দনিক মানসগঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বয়সের ধাপে ধাপে তাদের শেখা পছন্দ ও রুচির পরিবর্তন ঘটে। বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরের কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

নিবন্ধে আরও জানা যায়, দক্ষ জনসম্পদ এবং মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই। রূপকল্প ২০২১ এবং মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Sustainable Development Goal) ) অর্জনে সরকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। সাংবিধানিক দায়-বদ্ধতা, রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ জাতিসংঘ ঘোষিত বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে প্রাথমিক শিক্ষায় সরকার দৃষ্টি দিয়েছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন করে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক, মানসম্মত, যুগোপযোগী শিক্ষা এবং আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা, শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্যোগ, শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, ভর্তি নীতিমালা বাস্তবায়ন, যথা সময়ে ক্লাস শুরু, নির্দিষ্ট দিনে পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ, ৬০ দিনে ফল প্রকাশ, সৃজনশীল পদ্ধতি, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম প্রতিষ্ঠা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, স্বচ্ছ গতিশীল শিক্ষা প্রশাসন গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আকৃষ্ট করে ঝরে পড়া বন্ধ করা ও শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। স্কুল ও মাদ্রাসায় সব ধরনের শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে যথাসময়ে বই পৌঁছে দিয়ে দেশবাসীকে বিস্মিত করেছে। এই অভূতপূর্ব সফলতা সমগ্র জাতির কাছে প্রশংসিত হয়েছে এবং বিশ্বসমাজে পেয়েছে স্বীকৃতি ও মর্যাদা।

শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। আর শিশুদের ওপরই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের ভালোবাসতেন এবং শিশুদের উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় এবং একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আশানুরূপ ফলও পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তিই রচিত হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে যথার্থ শিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিশুদের সার্বিক দিক দিয়ে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাতেই এগিয়ে যাবে দেশ, এগিয়ে যাবে আমাদের ভবিষ্যৎ। গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

লেখক: মো. আরিফুল ইসলাম সরদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নোয়াখালী সদর।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037291049957275