প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫০ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে ফল ঘোষণা করেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করা হয়।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাস করেছে ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৩ জন পরীক্ষার্থী। উত্তীর্ণদের মধ্যে ১০ লাখ ৭২ হাজার ১৫৪ জন ছাত্র এবং ১২ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৯ জন ছাত্রী। প্রাথমিক সমাপনীতে ছাত্রদের পাসের হার ৯৫ দশমিক ৩৭ ভাগ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৯৫ ধশমিক ৬১ ভাগ।
জানা গেছে, টেলিটকের ওয়েবসাইটে (dperesult.teletalk.com.bd) থেকে ফল জানা যাবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পাসের বছর সিলেক্ট করতে হবে। এরপর নির্ধারিত স্থানে পরীক্ষার্থীর স্টুডেন্ট আইডি বসিয়ে সাবমিট দিলে ফল দেখা যাবে।এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও (www.dpe.gov.bd) প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার ফল দেখা যাবে।
এছাড়া এসএমএসের মাধ্যমে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল জানা যাবে। যে কোন মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে প্রাথমিক সমপনীর ফল জানতে DPE আর ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল জানতে EBT লিখতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার্থীর নিজ উপজেলা বা থানার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যাবে।
গত ১৭ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলে এ পরীক্ষা। চলতি বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। এদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন এবং ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন পরীক্ষার্থী ছিল।
সারাদেশে ৭ হাজার ৪৫৮টি কেন্দ্রে ইবতেদায়ি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩ হাজার ৯৩১টি কেন্দ্র এবং হাইস্কুল ও মাদরাসায় ৩ হাজার ৫২৭টি কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া আটটি দেশের ১২টি কেন্দ্রে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।