প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফল ও বৃত্তি : অভিভাবক-শিক্ষকের অর্ধ লক্ষাধিক অভিযোগ - Dainikshiksha

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফল ও বৃত্তি : অভিভাবক-শিক্ষকের অর্ধ লক্ষাধিক অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। পরীক্ষার ফল তৈরিতে জালিয়াতি, অর্থের বিনিময়ে উত্তরপত্রে গোপন কোড নম্বর ফাঁস, লাখ টাকার বিনিময়ে নম্বও দেয়াসহ মোট ৫ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শিক্ষা অফিসে দুই দফায় এমন কমপক্ষে ৫০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্তে কয়েক হাজার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।জানা গেছে, ২৯ নভেম্বরে পিইসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর প্রায় ৩৫ হাজার অভিযোগ পড়ে। এর মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ওইসব শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষা শেষে নতুনভাবে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া ১১ এপ্রিল বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার অভিযোগ দাখিল করেছেন অভিভাবকরা।

অভিযোগের সংখ্যা দৈনিকই বাড়ছে। এসব অভিযোগও নিষ্পত্তি করতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ছোটদের পরীক্ষায় এভাবে অনিয়ম আর দুর্নীতির ঘটনায় খোদ অধিদফতরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিপিই মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন,পরীক্ষা ও বৃত্তির বিষয়ে আমাদের কাছে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। সেগুলো তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা বা অনিয়মের ন্যূনতম প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে রাজশাহীর ডিপিইও’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।ডিপিইতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মোট ৫ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এগুলো হচ্ছে, মেধাবী শিক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ না পাওয়া, বৃত্তি না পাওয়া, বিভিন্ন বিষয়ে কাক্সিক্ষত নম্ব^র না পাওয়া, উত্তরপত্রে নম্বর কম-বেশি দেয়া, নম্বর যোগ করার ক্ষেত্রে (ডাটা এন্ট্রি) দুর্নীতি। এছাড়া স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও আছে। তাদের দাবি, অর্থের বিনিময়ে উত্তরপত্রে গোপন কোড নম্বর ফাঁস করে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট খাতায় দেয়া হয়েছে বেশি নম্বর। কিছু ক্ষেত্রে খাতায় নম্বর কমিয়ে দেয়ার অভিযোগও উঠেছে। রেজাল্ট শিটে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে কম যোগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ অনেক।

এ প্রক্রিয়ায় মেধাবীরা ভালো ফল ও বৃত্তি থেকে বাদ পড়েছে। ফলে শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে এখনও বিপুলসংখ্যক অভিযোগ আসছে। ডিপিইও’র কাছে অভিযোগ করার নিয়ম থাকলেও সুবিচার পেতে অনেকেই সরাসরি অধিদফতরেও চিঠি দিচ্ছেন।একাধিক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফলাফলে জালিয়াতির মূল কারণ ‘কোডিং সিস্টেম’। লিথো কোডে ওএমআর ফরম সিস্টেম থাকলে আর কোনো শিক্ষার্থীর নম্বর টেম্পারিং করা সম্ভব হতো না।সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডিপিইতে খোলা চিঠি পাঠান। তাতে তিনি দাবি করেন, পিইসি ফল তৈরিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।

৩ লাখ টাকার বিনিময়ে কিছু শিক্ষার্থীকে নম্বর কম-বেশি দিয়েছেন। ডিপিই ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে জেলার ডিপিইওকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ৪ এপ্রিল ডিপিইও শেখ অহিদুল আলম তদন্ত প্রতিবেদন পাঠান ডিপিইতে। তাতে বলা হয়েছে, কিছু শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পাইয়ে দিতে কালীগঞ্জ উপজেলায় বেশকিছু শিক্ষার্থীকে প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে বেশি দেয়ার ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। উত্তরপত্রের নম্বরের সঙ্গে মূল টেবুলেশন শিটের (ডাটা এন্ট্রি) নম্বরের মিল নেই। এতে বলা হয়, ডাটা এন্ট্রির কাজটি উপজেলার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ ফারুক হোসেন এবং কম্পিউটার অপারেটর ভবতোষ সরকার মিলে করেছেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্রে নম্বর পরিবর্তনের বিনিময়ে ৩ লাখ টাকা লেনদেনের কথা উল্লেখ আছে। প্রতিবেদনে ওই অপকর্মের জন্য ওই কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি যেসব শিক্ষার্থীর নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে, সেসব শিক্ষার্থীর ফল সংশোধন করে প্রকৃত ফল প্রকাশের জন্যও পাঠানো হয়।এ প্রসঙ্গে শেখ অহিদুল আলম  বলেন, বৃত্তি নিশ্চিত করার জন্য পরস্পর যোগসাজশে ৯-১০ জনের নম্বর বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এটা ফৌজদারি অপরাধের শামিল। তিনি বলেন, বর্তমানে উপজেলায় নতুন করে বৃত্তির ফল তৈরির কাজ চলছে। পাশাপাশি যেসব শিক্ষার্থীর নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে, তাদের প্রকৃত নম্বর বিবেচনায় এনে নতুন ফল প্রকাশের সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।অভিযোগে আরও দেখা যায়, রাজধানীর বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল ও কলেজের ইশমাম সাবাব নামে এক ছাত্রের অভিভাবক পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছেন। রোববার ডিপিইতে গিয়ে দেখা যায়, এ সংক্রান্ত একটি নথি নিষ্পত্তির জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে এক কর্মকর্তা বলেন, উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের কোনো নিয়ম নেই। ফল প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে কেবল পুনঃনিরীক্ষা করা হয়। নিরীক্ষায় খাতার সব প্রশ্নের উত্তরে নম্বর দেয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ঠিকমতো যোগ করা হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ঠিকমতো ডাটা এন্ট্রি করা হয়েছে কিনা- এই তিনটি দিক দেখা হয়। পরীক্ষার্থীর বাবা যেহেতু পুনর্মূল্যায়ন চেয়েছেন, তাই মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।পিরোজপুরের ইন্দুরকানী থেকে আবদুল হান্নান নামে এক অভিভাবক ডিপিইতে পাঠানো অভিযোগে তার মেয়ের বৃত্তির ফল পুনঃযাচাইয়ের আবেদন করেছেন। এতে তিনি দাবি করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ডাটা এন্ট্রির সময়ে তার কন্যার নম্বর কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের আবদুল বারেক মিয়ার অভিযোগে বলা হয়েছে, তার ছেলের চেয়ে ক্লাসে কম নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হয়েছে। সন্তানের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে ন্যায্যবিচার পেতে তিনি আদালতে মামলা করতে বাধ্য হবেন। সিলেটের ব্ল– বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের শতাধিক অভিভাবক এক আবেদনে বলেছেন, জিপিএ-৫ পেয়েও তাদের সন্তানরা বৃত্তি পাননি। প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের ত্রুটি আছে বলে মনে করেন তারা। এখন পর্যন্ত গাইবান্ধা থেকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে। বেশ কয়েকটি আবেদনে কয়েকশ’ শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এভাবে কুষ্টিয়া, খুলনা, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আবেদনে শিক্ষক ও অভিভাবকরা পরীক্ষার ফল ও বৃত্তির তালিকা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছেন।এদিকে কিছু অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, একশ্রেণির শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা এসব অনিয়মে জড়িত। অথচ অভিযোগ গ্রহণ ও সমাধানের ভারও দেয়া হয়েছে তাদেরই। যে কারণে প্রকৃত তথ্য বের না হওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের ঘটনায় দেখা গেছে, প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেও শেষে অজানা কারণে অভিযোগকারী তা দায়েরের কথা অস্বীকার করেন।

শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটরও নিজেদের অপরাধ অস্বীকার করেন। কিন্তু ডিপিই থেকে কড়া নির্দেশনা থাকায় নথিপত্র ঘাঁটতে বাধ্য হন তদন্ত কর্মকর্তা। যে কারণে অনিয়মটি বের হয়। ডিপিইর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মাঠপর্যায়ের অফিসে অনেকে দুর্নীতিতে লিপ্ত। মন্ত্রণালয়ের দু-একজন কর্মকর্তা এদের রহস্যজনক কারণে প্রশ্রয় দেন। প্রথমত প্রশ্রয়, দ্বিতীয়ত সাক্ষীর অভাবে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য হলেও অনেক সময়ে ব্যবস্থা নেয়া যায় না।তবে এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে প্রশ্রয়ের প্রশ্নই ওঠে না। বরং অনেক সময় দুর্নীতি প্রমাণের পরও মামলার জোরে কেউ কেউ ফিরে আসেন। সাময়িক বরখাস্ত করেও আমরা রাজশাহীর ডিপিইওকে বরখাস্ত করার পর তার স্থলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে পারিনি। আরেকজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

মামলায় জয়ী হয়ে ওই কর্মকর্তা এখন নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এরপরও পরীক্ষা ও বৃত্তির ফলাফলে দুর্নীতি করা কেউ রেহাই পাবে না।মঙ্গলবার সরেজমিন ডিপিইতে কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। নাম প্রকাশ না করে যশোর থেকে আসা তাদের একজন বলেন, বৃত্তি তালিকা প্রকাশের পর অভিযোগ ও পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন জমা দেয়া হলেও শিক্ষা অফিসগুলো পাত্তা দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই তাদের ঢাকায় আসতে হয়েছে।ডিপিই এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জিপিএ-৫ পেলেই শিক্ষার্থীর বৃত্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় না। ফল জিপিএর ভিত্তিতে হলেও বৃত্তি দেয়া হয় নম্বরের ভিত্তিতে। এ বছর সর্বনিন্ম ৫৮২ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, বৃত্তি দেয়া হয় উপজেলাভিত্তিক সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে।

আর জিপিএ-৫ দেয়া হয় প্রতি বিষয়ে গড়ে ৮০ নম্বরের ভিত্তিতে। তাই কোনো শিক্ষার্থী যদি একটি বিষয়ে ৮০-এর কম পায় তাহলে সে জিপিএ-৫ পায় না। কিন্তু এক বিষয়ে ৮০-এর কম নম্বর পেয়ে বাকিগুলোতে ৯৯ পেয়েও অনেক শিক্ষার্থীর চেয়ে বেশি নম্বর পেতে পারে কেউ। সে ক্ষেত্রে এমন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ না পেলেও বৃত্তি পাবে।গত বছরও বৃত্তি এবং পিইসি পরীক্ষা নিয়ে কমপক্ষে ৩৫ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছিল। ওই ঘটনায় অনেক অভিযোগ প্রমাণিতও হয়েছে। এতে জড়িত থাকায় ১৭ শিক্ষক, দুই শিক্ষা অফিসার, দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এবং এক অফিস সহকারীকে সাময়িক বরখাস্তসহ নানা ধরনের শাস্তি দেয়া হয়েছে।প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে এবার পরীক্ষার্থী ছিল ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ১১৮ জন। ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩২ জন পাস করেছে। এর মধ্যে ৮১ হাজার ৪৫৪ জন বৃত্তি পেয়েছে।

শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034830570220947