নাটোরের লালপুরে প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে আত্মহত্যা করেছেন পপি খাতুন নামের এক স্কুল ছাত্রী। রোববার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে লালপুর উপজেলার রামগাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বেলায়েত খান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পপি খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাবনা পলিটেকনিক্যালের সিভিল শাখার তৃতীয় বর্ষের ছাত্র লালপুরের নবীনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে এজাজুল করিমের (২২) সঙ্গে। শনিবার (২১ এপ্রিল) এজাজুল তার বাবাকে পপির সঙ্গে বিয়ে দেয়ার কথা বলেন। বাবা আনছার আলী রাজি না হওয়ায় অভিমানে শনিবার দিবাগত রাতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন এজাজুল।
রোববার (২২ এপ্রিল) সকালে এজাজুলের মরদেহ উদ্ধার করে লালপুর থানা পুলিশ। এদিকে প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে পপি রোববার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে পপিকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লালপুর থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, এজাজুলের আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরই পপির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রেমঘটিত বিষয়ে আত্মহত্যা কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে স্থানীয়ভাবে এমনটি শোনা যাচ্ছে বলেও জানান ওসি।