প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ছাত্রীর লাশ - দৈনিকশিক্ষা

প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ছাত্রীর লাশ

মাদারীপুর প্রতিনিধি |

মাদারীপুর কালকিনিতে নিখোঁজের ১১ মাস পর মুর্শিদা আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই স্কুলছাত্রীর প্রেমিক সাহাবুদ্দিন আকনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে শনিবার রাতে লাশ উদ্ধার করা হয়। সাহাবুদ্দিন শনিবার বিকালে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা ও লাশ গুম করার বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তার দেওয়া তথ্যমতে রাত ৮টার দিকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামের চাঁনমিয়া হাওলাদারের মেয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুর্শিদা আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এর সূত্র ধরে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে নিয়ে যায়। এরপর নিখোঁজ থাকায় গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় একটি জিডি করেন। এতে কোনো প্রতিকার না হওয়ায় গত বছরের ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করে ডাসার থানায় একটি মামলা করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম। দীর্ঘদিন মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তরের আবেদন করে বাদী পক্ষ। পরে মামলাটি মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তভার গ্রহণ করে। এরপর ৭ জানুয়ারি আসামি সাহাবুদ্দিন আকন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই তারিকুল ইসলাম আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন আদালতে। আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

স্কুলছাত্রীর মামা টিপু সুলতান বলেন, ‘আমার ভাগনিকে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে নিয়ে যায় সাহাবুদ্দিন। এরপর দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকায় আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অসহযোগিতা করে। একপর্যায়ে মামলা হলেও পুলিশ আসামি গ্রেফতার করেনি। মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান মিয়া জানান, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0067400932312012