যশোর শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির ৩৪ হাজার ২৮৪টি খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন জমা পড়েছে। ১৬ হাজার ৪১০ জন শিক্ষার্থী এ আবেদন করেছেন। যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ৩১ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন নেয়া হয়েছে। এবার যশোর বোর্ডের ১৬ হাজার ৪১০ জন খাতা পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে। ৩৪ হাজার ২৮৪টি খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছে।
তারমধ্যে রয়েছে বাংলা প্রথমপত্রে ১ হাজার ৭৫১টি, বাংলা দ্বিতীয়পত্রে ১ হাজার ৭৫১টি, ইংরেজি প্রথমপত্রে ৩ হাজার ৬৯৬টি, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ৩ হাজার ৬৯৬টি, গণিতে ৩ হাজার ২৪১টি, ভূগোলে ১ হাজার ১৫৮টি, ইসলাম শিক্ষায় ১ হাজার ১৩টি, হিন্দু ধর্মে ১২৪টি, খ্রিষ্টান ধর্মে ৯টি, উচ্চতর গণিতে ২ হাজার ১৬০টি, সাধারণ বিজ্ঞানে ২ হাজার ৬২টি, কৃষি শিক্ষায় ১ হাজার ২১০ জন, পদার্থে ১ হাজার ৭৮৯টি, রসায়নে ২ হাজার ৪৯০টি, জীব বিজ্ঞানে ১ হাজার ৩৪১টি, পৌরনীতিতে ১১৩টি, অর্থনীতিতে ৩৭০টি, ব্যবসা উদ্দ্যোগে ২০৯টি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ২ হাজার ৭৫৯টি, গার্হ্যস্থ অর্থনীতিতে ৩৩টি, ফিন্স্যাস ও ব্যাংকিংয়ে ৩৮৮টি, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতায় ৪১৯টি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ১ হাজার ৬১৫টি আবেদন পড়েছে বলেও দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানান, গত বছরের থেকে এবার যশোর শিক্ষা বোর্ডে তিন শতাংশের মতো বেশি শিক্ষার্থী ফেল করেছে। তাই পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সংখ্যাও বেড়েছে। ইংরেজিতে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। আবেদনকারীদের মধ্যে পাস করা শিক্ষার্থীদের হার বেশি। জিপিএ-৫ পাওয়ার আশায় তারা আবেদন করেছে।
চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন এ নিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আগামী ১৩ জুন থেকে খাতা পুনঃনিরীক্ষার জন্য শিক্ষকদের খাতা দেয়া হবে। প্রতিটি খাতা ডাবল চেক করা হবে। ভুল থাকলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সব শিক্ষার্থীই আইন অনুযায়ী সুবিচার পাবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা পুনঃনিরীক্ষার খাতা নতুন করে দেখা হয় না। এই ধারণা সঠিক নয়। প্রতিটি খাতাই ভালো করে দেখা হয়। দৈনিক শিক্ষাডটকমের মাধ্যমে সবাইকে এ ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।