ফাজিল ডিগ্রিবিহীন ধর্ম শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত - দৈনিকশিক্ষা

ফাজিল ডিগ্রিবিহীন ধর্ম শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক |
সাধারণ শিক্ষা ধারার ডিগ্রি (স্নাতক) পাস কোর্স সনদধারী শিক্ষকরাও ধর্ম শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। প্রচলিত জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতি মালা অনুযায়ী এতদিন শুধু ফাজিল ডিগ্রিধারীর্দের ধর্মশিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত করা হয়। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আপিল কমিটির দেয়া একটি সিদ্ধান্তকে দৃষ্টান্ত দেখিয়ে মাদরাসা ধারার ফাজিল ডিগ্রিধারী ছাড়াও সাধারণ শিক্ষা ধারার সমমানের ডিগ্রি (স্নাতক)পাস কোর্স সনদধারীদেরও এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও কমিটি। সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত সেপ্টেম্বর মাসের এমপিও সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। 
মহাপরিচালক অসুস্থ থাকায় সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হক। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিনজন উপসচিব ও সিনিয়র সহকারি সচিব। শুধু এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করার ক্ষমতাসম্পন্ন এই কমিটির প্রধান শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। 
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ‍কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকার যেহেতু ফাজিল ডিগ্রিকে বিএ পাসের সমমান দিয়েছে সেহেতু সাধারণ ধারায় বিএ পাস শিক্ষককে ধর্ম শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত করা যাবে। এনটিআরসিএর সুপারিশে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সাধারণ ধারার বিএ পাস একজন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে গড়িমসি করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। ওই শিক্ষকের ডিগ্রিতে ৩০০ নম্বরের ইসলাম শিক্ষা বিষয়টি ছিলো। এমন প্রেক্ষাপটে ওই প্রার্থীকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত দেয় আপিল কমিটি। এমপিও কমিটিতে উপস্থিত মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অধিকাংশ কর্মকর্তা এর পক্ষে মত দেন বলে জানা যায়। 
         
 
তবে, বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ‘ফাজিল পাস ছাড়া ধর্মীয় শিক্ষক হওয়া উচিত নয়। যদিও বিএ পাসের সমমান ফাজিল ডিগ্রি।’ 
 
তিনি যুক্তি দেন যে, জনবল কাঠামো ও এমপিওভুক্তির নীতিমালা ১৯৮২, ১৯৯৫, ২০১০ (সংশোধিত) ও ২০১৮ এর কোনওটিতেই ফাজিল ডিগ্রি ছাড়া ধর্মীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে নির্দেশনা নেই।
 
‘এমপিওভুক্তির নীতিমালার চাইতে মন্ত্রণালয়ের আপিল কমিটির সিদ্ধান্ত কখনোই গুরুত্বপূর্ণ নয়,’ যোগ করেন তিনি।
 
শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক-২) মো. আফসার উদ্দিন ফাজিল ডিগ্রিবিহীন শিক্ষকদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তির পক্ষে জোরালো মত দেন। পাঁচ বছর যাবত আফসার এই পদে রয়েছেন। 
 
অপর মাদরাসা শিক্ষক সমিতির একজন নেতা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, আপিল কমিটিতে অবৈধভাবে রাখা হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক-২) মো. আফসার উদ্দিনকে। তিনি একজন সহকারি অধ্যাপক অথচ শিক্ষা কর্মকর্তার পদটি প্রভাষকের। নিম্নপদে চাকরি করার ফলে প্রতিমাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা গচ্ছা দেন। একজন সহকারি পরিচালকের পরিবর্তে আফসারকে আপিল কমিটিতে রাখাই হয়েছে  বিতর্কিত এইসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য। 
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031840801239014