ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ ও তার এক সহযোগীকে ফেন্সিডিলসহ সরাইল থানা পুলিশ আটক করেছে।
মঙ্গললবার বিকেলে তাকে উপজেলার কুট্টাপাড়া মোড় থেকে আটক করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নিশ্চিত করেছেন সরাইল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। মোবাইল ফোনে এএসপি জানান, ছাত্রলীগের ওই সাবেক নেতার কাছ থেকে ছয় বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া গেছে।
আটকের সময় ছাত্রলীগের সাবেক ওই নেতা ও এনাম হক নামে তার এক সহযোগি পুলিশের এএসআই আলাউদ্দিনকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
মাসুম বিল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকার মৃত নিজাম মিয়ার ছেলে ও এনামুল একই এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে। তবে মাসুমের পরিবার ও জেলা ছাত্রলীগ তাকে পুলিশ ফাঁসিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন।
মাসুম বিল্লাহকে আটকের পরপরই সরাইল থানায় অবস্থান করেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফসহ মাসুম বিল্লাহ'র কিছু কর্মী-সমর্থক।
এদিকে মাসুম বিল্লাহকে আটকের পর থেকে কয়েক ঘন্টা জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সরাইল থানার কর্মকর্তারা গণমাধ্যম কর্মীদের ফোনকল রিসিভ করেননি। দীর্ঘ সময় নাটকীয়তার পর সন্ধ্যায় তারা আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন জানান, আমার সাথে সরাইল থানায় মাসুম বিল্লাহর কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কুট্টপাড়া মোড়ে গরীবে নেওয়াজ পেট্রোল পাম্পে তার এলাকার একজনের সাথে সাদা পোশাকে পুলিশের তর্কাতর্কি হওয়ার সময় তিনি এগিয়ে গেলে পুলিশের সাথে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) রইছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে কুট্টাপাড়া মোড়ে অভিযান চালিয়ে ছয় বোতল ফেনসিডিলসহ মাসুম ও এনামুলকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।