ফেসবুকে হা হা রিঅ্যাক্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলে ঢাকা ও কুমিল্লাভিত্তিক দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকার তিনজন ও কুমিল্লার একজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন ঢাকা অঞ্চলের মোহাম্মদ রাকিব, ওয়ালিদ সাইফুদ্দিন ও ইফতি এবং কুমিল্লা অঞ্চলের রোফি ওসমানী। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, ভর্তি পরীক্ষার বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ১০ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন কুমিল্লার দুজন অনুসারী। ওই পোস্টে ঢাকার অনুসারী হা হা রিঅ্যাক্ট দেন। পরবর্তী সময়ে কুমিল্লার অনুসারীরাও হা হা দিতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরই জেরে ঢাকার অনুসারীরা কুমিল্লা এলাকার গণরুমে গিয়ে হা হা রিঅ্যাক্ট দেওয়াদের হুমকি দেন। এরই জেরে মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা এলাকার অনুসারীরা ঢাকা এলাকার অংশে গেলে কথাকাটাকাটি এবং পরে তা মারামারিতে রূপ নেয়।
মারামারিতে আহত ঢাকা এলাকার ইফতি বলেন, ‘গতকাল রাতে আমাদের ব্যাচের কুমিল্লা এলাকার ৪০-৫০ জন এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। এ সময় আমরা রুমে চার-পাঁচজন ছিলাম। হঠাৎ তারা ব্যাট, স্টাম্প দিয়ে আমাদের মারতে শুরু করে। এতে আমাদের তিনজন আহত হন।’
কুমিল্লা এলাকার মাইনুদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি মীমাংসা করতে আমরা একসঙ্গে বসতে যাই। কিন্তু ওদের মাত্র তিন-চারজন ছিল। ওদের বাকি লোকজনকে ডাকতে বললে ওরা বলে, তোদের সঙ্গে আমরা এই কয়েকজনই যথেষ্ট। এ নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে ঢাকা এলাকার ইফতি কাঠ দিয়ে আমাদের একজনের চোখের নিচে আঘাত করে।’
এ ঘটনায় পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে দুই পক্ষই।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির আলম বলেন, দুই পক্ষেরই লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ঘটনা, তাই সেখানকার প্রক্টর ঘটনাটি জানেন। তিনিই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।
জানতে চাইলে প্রক্টর হারুন-উর-রশিদ বলেন, দুই পক্ষের কেউই লিখিত কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে দেয়নি। থানায় তারা অভিযোগ দিয়েছে কি না সে বিষয়ে আমরা অবগত না।