প্রথমবারের মতো ফেসবুক লাইভে এসে আর্থিক সহযোগিতার প্রার্থনা করেছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী কওমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে মাদরাসার নিজস্ব ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে এ আবেদন জানানো হয়।
লাইভে অংশগ্রহণ করেন মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের প্রধান আব্দুস সালাম চাটগাঁমী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক জুনায়েদ বাবুনগরী, পরিচালনা পরিষদ সদস্য ইয়াহইয়া, সিনিয়র শিক্ষক জসিম উদ্দিন, শিক্ষা পরিচালক শোয়েবসহ সিনিয়র শিক্ষকরা। লাইভে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদরাসার শিক্ষক ড. নুরুল আফছার আজহারী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১২০ বছর আল্লাহর রহমত ও দয়া এবং সর্বসাধারণের আর্থিক অনুদান ও সাহায্য-সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করেই এ জামিয়া (মাদরাসা) ইসলামের নিরলস খেদমত করে আসছে। তবে, করোনা পরিস্থিতির জন্য সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে জনচলাচল ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে পড়ায় মাদরাসার উস্তাদ ও প্রতিনিধিরা আপনাদের কাছে গিয়ে মাহে রমজানের যাকাত, ফিতরা ও অন্যান্য দানের অর্থ সংগ্রহে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছেন। আর আল্লাহ না করুন, এবারের রমজানেও যদি জামিয়ার গোরাবা ফান্ডে অর্থ সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম এবং হাজার হাজার গরীব ও এতিম ছাত্রের ভরণ-পোষণ চালু রাখা সংকটের মুখে পড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, চলমান লকডাউন পরিস্থিতির কারণে এ বছরও মাদরাসার প্রতিনিধিরা হয়তো আপনাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ পাবেন না। গত বছরের মতো চলতি রমজানেও আপনাদের প্রিয় এই প্রতিষ্ঠানের বিশাল ব্যয় নির্বাহে সহযোগিতার অংশ হিসেবে নিজ নিজ সদক্বা-ফিতরা, নযর, কাফফারা ও দানের অর্থ ব্যক্তিগতভাবে বা এলাকাভিত্তিক সম্মিলিতভাবে মাদরাসার ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশ নম্বরে জমা করে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম এবং বহুমুখী দ্বীনি খিদমতের ধারা অব্যাহত রাখতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। দান-সদক্বার অর্থ জমা দিতে প্রয়োজনে জামিয়ার ০১৮১৯-৩২৩৬০২ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও সহযোগিতা নিতে পারবেন।
জানা গেছে, বর্তমানে হাটহাজারী মাদরাসায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ১০০ জন এবং ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। এরমধ্যে ৪ হাজার ৭০০ জন গরীব ও এতিম ছাত্রকে বিনামূল্যে বোর্ডিং থেকে খোরাকী প্রদান করা হয়।