বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির অভিযোগের ঘটনায় জারি করা রুলের রায়ের দিন ১৫ মার্চ ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারন ছিল।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর নামের বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা সচিবকে প্রধান করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। পরে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।
গত ৩১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির অভিযোগে যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছিলো। ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।
মুজিববর্ষে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নারের জন্য আটটি বই কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি বই নিয়েই জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে নাজমুল হোসেন নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ এবং ‘৩০৫৩ দিন’ বইটির পাশাপাশি অধ্যাপক নাসরিন আহমদ সম্পাদিত ‘অমর শেখ রাসেল’ বইটিরও মেধাস্বত্ব চুরি করে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘জার্নি মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড’ ও ‘স্বাধীকা পাবলিশার্স’ নামে দুটি প্রকাশনা সংস্থার মালিক সাংবাদিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, অবাক করা বিষয় হলো এ দুর্নীতি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বই নিয়ে। এটা সহ্য করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, এ বইগুলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। আর এগুলোর ছাড় দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রায় ২০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতাবিহীন বইগুলোর ছাড় পাওয়া সম্ভব না।