জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ২০১৬-এর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন,“শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটনো বর্তমান শিক্ষাপদ্ধতিতে দুরূহ হয়ে পড়েছে। বন্ধ প্রকোষ্ঠে শিক্ষার্থীরা বন্দী। স্বল্প পরিসরে শিক্ষার্থীরা সীমাবদ্ধ থাকায় তাদের মানসিক বিকাশ পরিপূর্ণভাবে হচ্ছে না। তাদের শিক্ষার পরিসর বৃদ্ধি করতে হবে। সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য আছে, এই বৈষম্য দূরীকরণে সরকারসহ সকলে সচেষ্ট। একইভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য বিরাজ করছে। আর এই বৈষম্য দূর করতে সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “পুরানো ঢাকার সাংস্কৃতিক ঐহিত্য হারিয়ে যাচ্ছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে সংগীত বিভাগ, নাট্যকলা বিভাগ ও চারুকলা বিভাগের আবির্ভাবের ফলে এটা সম্ভব হচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন বিভাগগুলোর কর্মকান্ড সম্প্রসারণের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় হতে সহযোগিতা সবসময় কাম্য।”অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপনে বক্তব্য প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদযাপন কমিটি ২০১৬-এর আহ্বায়ক ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. লাইসা আহমদ লিসা।
এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাঃ আলপ্তগীন, নাট্যকলা বিভাগের ড. মোঃ আব্দুল হালিম প্রমাণিক, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অণিমা রায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদযাপন কমিটি ২০১৬-এর সদস্য-সচিব ও একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মোঃ নাসির উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। উল্লেখ্য, ২৪ জানুয়ারি রবীন্দ্রসংগীত, লোকসংগীত ও দেশাত্ববোধক গানের প্রতিযোগিতা এবং ২৫ জানুয়ারি উচ্চাঙ্গসংগীত, নজরুলসংগীত, আবৃত্তি ও উপস্থিত বক্তৃতা বিষয়ে প্রতিযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।