টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের জিঞ্জিরাম নদীর পানি অপরিবর্তিত থাকলেও ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বেড়েছে। ফলে, কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। ৩০৩ হেক্টর আবাদী ফসল, ৬টি ব্রীজ, ৬৫টি গ্রামের ৩৫ কিলোমিটার গ্রামীন রাস্তাসহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানির নিচে প্রায় ৩০৩ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ছোট বড় অনেক পুকুরে মাছ বেড়িয়ে গেছে। হাজার হাজার গবাদি পশু নিয়ে বিপদে পরেছেন খামারীরা।
চর নতুনবন্দর স্থলবন্দর ও বালিয়ামারী বর্ডার হাট বন্যার পানিতে তুলিয়ে যাওয়ায় আমাদানী ও রপ্তানী বন্ধ হয়েছে। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক শ্রমিক। অপরদিকে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে এখনও সরকারি বেসরকারি কোন সংস্থা এগিয়ে আসেনি।
বুধবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণে ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় বন্যার পানিতে চর পাহাড়তলি, ঝাউবাড়ি, বকবান্দা লাঠিয়ালডাঙ্গা, চুলিয়ারচর, বড়াইবাড়ি, বারবান্দা, পূর্ব ইজলামারী, ভুন্দুরচর, চান্দারচর, নওদাপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, বোল্লাপাড়া, খাটিয়ামারী, মোল্লারচর, বেহুলারচর, খেতারচর, বড়াইবাড়ি, গাছবাড়ী, মিয়ারচরচর, ফুলুয়ারচর, বলদমারা, খেদাইমারী, রতনপুরসহ প্রায় ৬৫ টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
বন্যার পানিতে বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষ ভাড়া করা নৌকা বা ভেলা দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এভাবে বন্যার পানি বৃদ্ধি হলে প্রতিটি ঘরে ঘরে পানি উঠবে এবং বিপদে পড়বে ওই পরিবারগুলো। শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিতে পারে। এখন পর্যন্ত পানিবন্দী মানুষের কাছে কোন ত্রাণ পৌঁছেনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, চলতি বন্যায় আউস ধান ৭৬, পাট ১৫৪, তিল ২৭ ও শাকসবজি ৪৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রণয়ন করে ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে ৪৭ টি বিদ্যালয় মাঠে পানি উঠেছে। ফলে ওইসব বিদ্যালয়ে আপাতত পাঠদান ব্যহত হয়েছে, তবে প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশলাফুল আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বন্যার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পানি যদি আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে খেটে খাওয়া মানুষ। ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।