৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বরগুনা অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। আম্ফানের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও ঝড়ো বৃষ্টিসহ সাগর ও নদী উত্তাল রয়েছে। প্রচণ্ড ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ছে। কিছু কিছু জায়গায় গাছ পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা পাকা ঘর ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো।
বুধবার (২০ মে) রাত ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) উপ-পরিচালক কিশোর কুমার সরদার।
তিনি দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বরগুনায় বাতাসের গতিবেগ ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার রয়েছে। দমকা হাওয়াসহ ঝড়োবৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বরগুনা অতিক্রম করছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান প্রথম আঘাত হানা শুরু করে। বরগুনা অতিক্রম করতে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিনটি নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্মাঞ্চলের শতশত ঘরবাড়ি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক সময় জোয়ারের উচ্চতা থাকে ২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। বুধবার বেলা ১১টায় বরগুনায় জোয়ারের পানির উচ্চতা ছিলো ৩ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাতে পানির পরিমান আরও বৃদ্ধি পেতে পারে সেই সাথে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছেন তারা।
বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ৬২৮টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার দুই লক্ষাধিক মানুষ। যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনা ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোনো ট্রলারডুবির তথ্য তার কাছে নেই। তবে বঙ্গোপসাগর যে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে তাতে যে কোনো সময় খারাপ কোনো খবর শুনতে হতে পারে।