আন্দোলন, সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্যেও গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের অধীনে শিক্ষক সমিতি নির্বাচন-২০২০ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষক ঐক্য পরিষদ এবং বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকারের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদ নামক দুটি প্যানেল এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টায় ইএসডি ডরমেটরিতে ২৩৫ শিক্ষক ভোটারের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অব্যাহত থাকবে এমনটি জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. দীপঙ্কর কুমার।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষক ঐক্য পরিষদের পক্ষে সভাপতি পদে লড়ছেন মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান।
এই প্যানেলে সহ সভাপতি পদে রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক ড. মো. সালেহ আহমেদ (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), কোষাধ্যক্ষ পদে সহকারী অধ্যাপক মো. লুৎফুল কবির (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সহকারী অধ্যাপক মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া (একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম) ও প্রচার সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. সোলায়মান হোসেন।
অপরদিকে, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকারের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদ প্যানেলে সভাপতি পদপ্রার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাকিবুল ইসলাম। এছাড়া সহ সভাপতি প্রার্থী প্রভাষক ড. মো. বশির উদ্দীন (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ), কোষাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুব হাসান (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সহকারী অধ্যাপক মো. মুরাদ হোসেন (পরিসংখ্যান বিভাগ) ও প্রচার সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামসুল আরেফীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোনীত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. দীপঙ্কর কুমার জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে ৭টি পদের বিপরীতে শিক্ষকদের দুইটি প্যানেল থেকে মোট ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া দুইজন শিক্ষক স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বলে তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে ৩৪ দিন যাবৎ আন্দোলন, অবস্থান, অনশন এবং অবরোধ কর্মসূচির মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ও গতিশীল এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে এবারের নির্বাচনের ফলাফল এমনটিই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।