করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশে এক কোটি ৬৪ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্রসীমায় নেমে গেছে। অন্য সব হিসাব আমলে নিলে বর্তমানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা তিন কোটি। করোনায় শ্রমজীবী মানুষের আয় অন্তত ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের আয়োজিত সংলাপে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংলাপে বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেন, কঠোর লকডাউন অর্থনীতির জন্য ক্ষতি বয়ে আনছে। তবে তার এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন যুক্তরাজ্যের আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ এস আর ওসমানি। তিনি বলেন, লকডাউন কঠোর করা না হলে আরও খেসারত দিতে হবে।
জীবন ও জীবিকা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। লকডডাউন শিথিল করার কারণে করোনার সংক্রমণ বাড়বে। মানুষ মারা যাবে। পরে আবারও লকডাউন দিতে হবে। এতে সময়ক্ষেপণ হবে, অর্থনৈতিক ক্ষতি ও মৃত্যু বাড়বে। কঠোর লকডাউন দিয়ে মানুষের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়াই এ মুহূর্তে একমাত্র সমাধান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, লকডডাউন প্রত্যাহার করে নেওয়া সরকারের উত্তম কৌশল ছিল। এতে কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। লকডাউনের সময় সরকারের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা উঠলেও তাতে লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এই সংলাপ পরিচালনা করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে ই এস মুরশিদ। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম, আইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মুসতাক হোসেন, ড. মনজুর হোসেন, ড. কাজী ইকবাল প্রমুখ।