রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। গত রোববার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বান্ধবী ও এক গৃহবধূর সহায়তায় অস্ত্র দেখিয়ে জিম্মি করে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় আজ সোমবার বাঘা থানায় মামলা করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বাঘার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। গতকাল রোববার স্কুল ছুটির পর পাশে অবস্থিত আকবর আলী নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে তাকে ডেকে নিয়ে যায় এক বান্ধবী।
এরপর ওই বাড়িতে ঢুকে একই গ্রামের জুয়েল (২০)। তিনি স্কুলছাত্রীর বান্ধবী ও আকবরের স্ত্রীর সহযোগিতায় গামছা দিয়ে স্কুলছাত্রীর মুখ বেধে ধারালো চাকুর মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করে। মুখের গামছা খুললে ওই ছাত্রী চিৎকার দিয়ে উঠলে গ্রিলবিহীন জানালার পাল্লা খুলে জুয়েল পালিয়ে যায়।
আজ সোমবার সকালে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়েকে মাঝে মধ্যেই জুয়েল উত্ত্যক্ত করত। মান সম্মানের ভয়ে কাউকে বলিনি। কিন্তু তার শেষ পরিণতি যে এটা হবে, তা ভাবতেও পারিনি। আমি এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।’
মেয়েটির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিদুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনা কতটা সত্য তা বলতে পারব না। তবে লোকমুখে ধর্ষণ হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।’
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ধীরেন্দ্রনাথ জানান, সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় জুয়েলকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর স্কুলছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।