ভোলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার দুপুর সোয়া তিনটায় তিনি ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন ভোলা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির সোপান।
গত রোববার বিএনপির দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি তেল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামতে গেলে পুলিশের সঙ্গে নেতা কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ৩৫ রাউন্ড টিআর সেল এবং ১৬৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। প্রাণ হারায় আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী।
ওই সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম গুরুতর আহত হন। ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল এবং ওই দিনই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
৩ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয় নিশ্চিত করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির সোপান।