যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর সামসুন্নাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কারণে খেলার মাঠ সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে করে সুলতানপুর নূরুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ তার ঐতিহ্য হারাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। প্রায় ৩০ বছর ধরে বিদ্যালয় দুটি পাশাপাশি অবস্থান করছে।
সুলতানপুর নূরুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কামটির সভাপতি সরদার ফরিদ আহমেদ দৈনিকশিক্ষা ডটমকে বলেন, নতুন ভবন নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটিকে হত্যা করা হচ্ছে। ফলে মাঠটি তার ঐতিহ্য হারাচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বর্তমান ভবনটি যেখানে আছে সেটি প্রায় ২০ বছরের পুরনো, জরাজীর্ণ। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার ১ লাখ টাকা অনুদান দেন। তা দিয়ে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি প্লাস্টার ও রংচং করা হয়। পুরনো ভবনের পেছনে অন্তত ১০০ ফুট জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। যদি ভবনটি ভেঙে নতুন ভবনটি আরেকটু পিছিয়ে করা যায় তবে বিদ্যালয়ের মাঠ আরো প্রশস্ত হবে।
অবশ্য সুলতানপুর সামসুন্নাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইসলাম সরদার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন, মাঠের মধ্যে কেউ বিল্ডিং করে নাকি? পূর্ব সীমানায় নতুন ভবন হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ২৫ মার্চ থেকে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন করার জন্যে আমরা দরখাস্ত করেছিলাম। কিন্তু সরকারের তরফে তা গ্রহণ হয়নি। আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম। তা অনুমোদন পায়নি। নতুন ভবনের কারণে বিদ্যালয়ের মাঠ কিছুটা সংকুচিত হবে বলেও তিনি স্বীকার করেন।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল আলম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।