‘বই পড়া’ কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ৯৩টি স্কুলের পাঁচ হাজার ১২৫ শিক্ষার্থীকে বই পুরস্কার দিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। শুক্রবার (৬ মার্চ) এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় এ পুরস্কার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। এগুলো হচ্ছে- স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরা পাঠক পুরস্কার। এর মধ্যে স্বাগত পুরস্কার দেয়া হয় দুই হাজার ৫০২ জনকে, শুভেচ্ছা পুরস্কার এক হাজার ৫১৩ জনকে, ৮৮১ জনকে অভিনন্দন পুরস্কার এবং সেরা পাঠক পুরস্কার দেয়া হয় ২২৯ জনকে। আর এই সেরা পাঠকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বাছাই করা ২৯ জনের প্রত্যেককে দেয়া হয় দুই হাজার টাকার বই। এর বাইরে লটারির মাধ্যমে বাছাই করা চার অভিভাবককেও বই উপহার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খন্দকার স্বনন শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা ফারজানা রহমান ও শরীফ মাহমুদ খান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক আবদুল হক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চট্টগ্রাম মহানগর সংগঠক ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আবদুল আলীম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মুজিববর্ষে গ্রামীণফোনের সহায়তায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই প্রদান কর্মসূচিকে মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেন মেয়র নাছির। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুধু পাঠ্যবই পড়লেই হবে না। সাহিত্যসহ অন্যান্য বইও পড়তে হবে। বই পড়লে আলোকিত মানুষ হওয়া যায়। বইয়ে পড়া জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে হবে। এটি হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নও পূরণ হবে।’