বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসে বাকৃবিতে র‌্যালি | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসে বাকৃবিতে র‌্যালি

বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস-২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (আইআইএফএস) আয়োজনে র‌্যালি ও ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস-২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (আইআইএফএস) আয়োজনে র‌্যালি ও ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসে বাকৃবিতে র‌্যালি

সোমবার (৭ জুন) রাতে আইআইএফএসের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. রাখী চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. নূরুল হক, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তানভীর রহমান‌।

বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসে বাকৃবিতে র‌্যালি

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার বক্তব্য বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি একটি আরেকটির সাথে জড়িত। দেশ খাদ্য নিরাপত্তায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও পুষ্টি নিরাপত্তায় আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি। আইআইএফএস দেশের এমন একটি বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট যেটি খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি আইআইএফএস এর শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে দ্রুতই দেশে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন বলেন, ফসল উৎপাদনের সঠিক প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণে কৃষক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আইন প্রয়োগের মাধ্যমে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত ডাই, অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোনের ব্যবহার খাদ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে সর্বসাধারণকে অবহিত করতে হবে।

কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম বলেন, ফল সংরক্ষণে ফরমালিন, কার্বাইড, ইথিলিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। বিভিন্ন রাসায়নিক কেমিক্যাল দেহের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে ফেলে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে খাদ্য উৎপাদনের উৎসের দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে।

আইএফএসের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারি বলেন, খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করণে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে খাদ্যের গুণাগুণ ও পুষ্টি অক্ষুন্ন রাখতে হবে। অল্প খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে অধিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। নতুন প্রজন্ম সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যের কোন বিকল্প নাই। সেই লক্ষ্যে আইআইএফএস নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন