লালমোহন উপজেলাধীন আশ্রাফ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী রেহানা আক্তার মিতু তার বাবা-মায়ের দেয়া বাল্য বিবাহ প্রত্যাখ্যান করে থানা প্রশাসনে আশ্রয় নেয়ায় লালমোহন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামছুল আরিফের সভাপতিত্বে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ফখরুল আলম হাওলাদার, সহকারি পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর, আশ্রাফ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান কামরুল, স্কুল ছাত্রী রেহানা আক্তার মিতু প্রমুখ।
রেহানা আক্তার মিতুর পিতা মো. সেকান্তর মিয়া একজন সাধারণ কৃষক। লালমোহন পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষক সেকান্দর মিয়া অল্প বয়সে মেয়ে রেহানা আক্তার মিতুকে প্রায় দু’মাস পুর্বে পার্শ্ববর্তী চরভুতা ইউনিয়নের কালু মাতাব্বর বাড়ির হারুণের সাথে জোরপুর্বক বিয়ে দেয়।
এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি মেয়ে স্কুল ছাত্রী মিতু। ইতিমধ্যে মিতুকে তার শ্বশুর বাড়িতে তুলে দিতে সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার।
এ খবর শুনে গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মিতু বাড়ি থেকে পালিয়ে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীরকে ঘটনার বর্নণা দেয়। এবংবাবা-মায়ের দেয়া বাল্য বিবাহ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানায় ।
আশ্রাফ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান কামরুল জানান, মিতুর পড়া-লেখার সকল খরচ স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করবেন। এছাড়াও লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর নিজের বেতন থেকে যতদিন মিতু লেখাপড়া করবে ততদিন তাকে আর্থিক সহযোগিতা দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ মিতুর বয়স ১৮ পেরিয়ে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে পড়ালেখা খরচ দিবেন বলে জানান।