বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ ও এর পূর্বের মেধা ও সাধারণ বৃত্তি, সংখালঘু ও উপজাতি উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধি ও অটিস্টিক উপবৃত্তি ও পেশামূলক উপবৃত্তির টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাঠানো হয়। কিন্তু বৃত্তির টাকা পেতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হওয়ায় সরাসরি জিটুপি এর আওতায় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বলা হয়েছে। চলতি বছরের জুনে এ সিদ্ধান্ত নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্য হালনাগাদের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এসপিএফএমএসপি প্রকল্পের এমআইএস টিম এবং এসইডিপির সমন্বিত শিক্ষা উপবৃত্তি বাস্তবায়ন টিম শিক্ষার্থীদের তথ্য হালনাগাদের কাজ করছে।
সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃত্তির টাকা ব্যাংকে পাঠাতে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ নামে অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে অনলাইন সুবিধা সম্পন্ন যেকোন তফসিলভুক্ত ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের নিজ নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তবে, মাদরাসার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা এ প্রক্রিয়ার বাইরে থাকবে।
শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, মেধা ও সাধারণ বৃত্তি, সংখালঘু ও উপজাতি উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধি ও অটিস্টিক উপবৃত্তি ও পেশামূলক উপবৃত্তির টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতিতে পাঠানো বা তোলা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের। গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।