বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের কোনো পেনশন নেই । চাকরি শেষে যে সামান্য অবসরভাতা পান তা পেতেও পাঁচ বছরাধিক সময় লেগে যায়। একজন শিক্ষক ৬০ বছর হলেই অবসরে যান। স্বভাবতই তাঁর জীবনের অন্তিম সময় এসে যায়। বার্ধক্যজনিত নানারকম রোগ-ব্যাধি তাঁকে আক্রমণ করতে শুরু করে। পেনশনহীন আর্থিক সংকটে তাঁর পক্ষে ভালো চিকিত্সা করাও সম্ভব হয় না।
আমি বেসরকারি কলেজের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে সেই দুঃসহ দিনগুলো পার করছি। প্রায় দুই বছর হতে চলেছে অবসর গ্রহণ করেছি। কিন্তু অবসরভাতা কবে নাগাদ পাব তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমাদের কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক শেখ সোলায়মান হোসেন সাড়ে পাঁচ বছর পর অবসরভাতা পেয়েছেন। ততদিনে তিনি জান্নাতবাসী। আমাদের কলেজেরই এক নাইটগার্ড তজিমুদ্দিন অর্থাভাবে বিনা চিকিত্সায় মৃত্যুর পরে অবসরভাতার টাকা পেয়েছেন। জীবদ্দশায় সেই অর্থ তিনি ভোগ করে যেতে পারেননি। আমার দ্বারেও মৃত্যুদূত কড়া নাড়ছে। তবে কি আমিও মৃত্যুর পরে স্বর্গে বসে ঐ অবসরভাতা ভোগ করব? বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি হূদয় দিয়ে একবার বিচার করবেন?
বেণীমাধব সরকার
সহকারী অধ্যাপক (অব), বাংলা,
সিংগাইর ডিগ্রি কলেজ, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ