বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে আবেদনকারীর করণীয় ও কিছু কথা - দৈনিকশিক্ষা

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে আবেদনকারীর করণীয় ও কিছু কথা

জয় চরণ বিশ্বাস |

এনটিআরসিএ কর্তৃক বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদনকারীকে শিক্ষক নিয়োগের পরবর্তী সময়ে আর হয়রানির শিকার হতে হবে না। কেননা, প্রথমবারের মতো স্কুল ও কলেজের এমপিও কপি অনলাইনে দেয়া হয়। এজন্য আবেদনকারীকে এমপিওপ্রাপ্তির জন্য আর হয়রানির শিকার হতে হবে না।

ধরুন, এনটিআরসিএ কর্তৃক নোয়াখালী সদর জেলার সোনাপুর কলেজে অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষকের ১টি (এমপিও) পদ এন্ট্রি-লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের জন্য গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করল। সোনাপুর কলেজে উক্ত বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের একজন প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে (www.emis.gov.bd) প্রদত্ত চারটি ব্যাংক অপশন খুঁজে উক্ত প্রতিষ্ঠানের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিগত মাসের এমপিও শিট ডাউনলোড করবেন এবং দেখে নিশ্চিত নিশ্চিত হবেন যে,  উক্ত প্রতিষ্ঠানটির কোন স্তরেরএমপিও আছে? উচ্চ মাধ্যমিক না ডিগ্রি স্তর?

যদি কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত এমপিও হয়ে থাকে এবং কলেজটির এমপিও শিটে যদি ঐ বিষয় এবং বিষয়ের বিপরীতে কারো নাম উল্লেখ না থাকে, তবে বুঝতে হবে গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত পদটি একটি  নিশ্চিত এমপিও পদ। যদি এর বিপরীত হয়, তবে মনে করতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধান এনটিআরসিএতে ভুল তথ্য আপলোড করেছেন।

আবার, যদি কলেজটি ডিগ্রি স্তর পর্যন্ত এমপিও হয়ে থাকে এবং কলেজটির এমপিও শিটে যদি ঐ বিষয় এবং বিষয়ের বিপরীতে ১ জনের নাম উল্লেখ থাকে, তবে বুঝতে হবে গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত পদটি একটি নিশ্চিত এমপিও পদ। কেননা, ডিগ্রি স্তর পর্যন্ত যে কোনো বিযয়ের এমপিও প্রাপ্যতা ২ জন। যদি এমপিও শিটে বিষয়ের বিপরীতে ২ জনের নাম উল্লেখ থাকে, তবে বুঝতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধান এনটিআরসিএতে ভুল তথ্য আপলোড করেছেন।

কাজেই, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের আবেদনকারী হিসেবে আপনি গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ-মাদরাসা) গুলোর এমপিও স্তর অনুসারে যে কোনো বিষয়ের শিক্ষক সংখ্যার এমপিও প্রাপ্যতা জেনে-বুঝে এবং আবেদন প্রত্যাশিত প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও শিটের সাথে গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের সমন্বয় করে আবেদন করলে নিয়োগ পরবর্তী সময়ে আপনাকে এমপিও পাওয়ার জন্য আর হয়রানির শিকার হতে হবে না।

উল্লেখ্য যে, প্রতিষ্ঠানগুলোর মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা এবং বিজ্ঞান বিভাগভিত্তিক এমপিও আছে কি-না আবেদনের পূর্ববর্তী সময়ে বিবেচনায় আনতে হবে।

লেখক : জয় চরণ বিশ্বাস, প্রভাষক (অর্থনীতি), সোনাপুর কলেজ, সদর, নোয়াখালী।

[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন।]

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030090808868408