নাটোরের গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের (এসএসসি) ভোকেশনাল শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে টাকা না পেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তব প্রশিক্ষণের নম্বর না দেওয়ায় সকল শিক্ষার্থীই ফেল করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শাখায় ২৩ শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সোমবার ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর সবাই ফেল করেছে জানতে পেরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তব প্রশিক্ষণের নম্বর বোর্ডে জমা না দেওয়ার কারণে তারা সবাই ফেল করেছে।
এ বিষয়ে কয়েকজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, তাদের কাছ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তব প্রশিক্ষণের নম্বর দেওয়ার কথা বলে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা আড়াইশ টাকা করে দাবি করলে তারা ওই টাকা না দেওয়ায় তাদের প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তব প্রশিক্ষণের নম্বর বোর্ডে পাঠানো হয়নি। যার কারণে তারা সবাই ফেল করেছে বলে জানায়। তারা ওই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
তবে তাদের পাঁচজনের কাছ থেকে ওই টাকা নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সভাপতি বিষয়টি জানতে পেরে ওই টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম টাকা নেওয়া বা চাওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তব প্রশিক্ষণের নম্বর বোর্ডে পাঠানোর জন্য শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই শিক্ষক ওই নম্বর বোর্ডে পাঠিয়ে তাকে অবগত করেছিল বলে তিনি দাবি করেন। এ বিষয়ে বোর্ডে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, ওই শিক্ষার্থীদের জীবন এখন সংশয়ে রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলার কারনেই মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। প্রধান শিক্ষককে বোর্ডে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।