ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় - দৈনিকশিক্ষা

ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

দৈনিক শিক্ষা ডেস্ক |

পিরোজপুরের নাজিরপুরে এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে ১৫ লক্ষ টাকা হাতাইয়া নেওয়ার অভিযোগ উঠিয়াছে। উপজেলার ৯টি কলেজের মোট ১ হাজার ৮৮৭ জন পরীক্ষার্থীর জন্য তিনটি কেন্দ্রে এই ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হইতেছে। পরীক্ষার্থীদের নিকট হইতে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের খরচ বাবদ এই টাকা আদায় করা হইয়াছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছে একটি জাতীয় দৈনিকে। প্রকাশিত সংবাদে পরীক্ষার্থীদের নিকট হইতে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গিয়াছে, ব্যবহারিক প্রতি বিষয়ের জন্য ২০০ হইতে ৩৫০ টাকা করিয়া আদায় করা হইয়াছে। চাহিদামাফিক অর্থ প্রদান করিতে না পারিলে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করিয়া দেওয়ার হুমকি প্রদান করা হয় মর্মে অভিযোগ রহিয়াছে। যদিও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা এমন অভিযোগ অস্বীকার করিয়াছেন। গত ২১ মে একযোগে একাধিক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হইয়াছে যে, এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শিক্ষার্থীদের নিকট হইতে অবৈধভাবে ১১ লক্ষ টাকা আদায় করা হইয়াছে। কেবল এই বত্সরই নহে, ‘নাজিরপুরে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অর্থবাণিজ্য’ শিরোনামে গত বত্সরও  সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছিল।

উপজেলা সদরের নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানাইয়াছেন, আইসিটির ব্যবহারিক পরীক্ষা না হইবার কারণে উক্ত বিষয়ে কোনো খরচ নেওয়ার নির্দেশ নাই। তবে অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষার জন্য বহিরাগত অতিথিদের আপ্যায়নসহ বিভিন্ন খরচ বাবদ প্রতিপত্রের জন্য ৭৫ টাকা করিয়া ধার্য করা হইয়াছে। অর্থাত্ ৭৫ টাকা অবধি অর্থ আদায় ঠিক আছে, তাহার অতিরিক্ত অর্থ আদায় কলেজ কর্তৃপক্ষের অগোচরে হইতেছে। বাস্তবতা হইল, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগোচরে এত বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় সম্ভবপর নহে। প্রকৃতপক্ষে এসএসসি ও এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনা সারা দেশেরই বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ চিত্র। অতিরিক্ত ফি এলাকা ও স্কুলভেদে ভিন্ন ভিন্ন হইয়া থাকে। ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য আদায়কৃত এই টাকার জন্য কোনো রসিদও দেওয়া হয় না। জানা যায়, ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের পুরোটাই ‘বাহিরের পরীক্ষকের’ মর্জির ওপর নির্ভর করিয়া থাকে। অর্থের বিনিময়ে অথবা অর্থ প্রদানে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করাসহ নানা কৌশল অবলম্বন করা হইয়া থাকে ব্যবহারিকে পূর্ণাঙ্গ নম্বর অর্জনের নিমিত্তে। শিক্ষার্থীদের এই বার্তাও প্রচ্ছন্নভাবে দেওয়া হইয়া থাকে যে, ব্যবহারিক পরীক্ষায় অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আসিয়া পরীক্ষা গ্রহণ করেন বিধায় অতিরিক্ত অর্থ প্রদান না করিলে ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর কম মিলিবে। তাই, অনেক ক্ষেত্রে ইহা এক ধরনের অলিখিত সমঝোতাও বটে। পুরো বিষয়টি ‘ওপেন সিক্রেট’ হইলেও স্কুল-কলেজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির তদারকি সংস্থা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং শিক্ষা বোর্ডসমূহ কখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। এই অনিয়ম দিনের পর দিন চলিতে পারে না। সময় আসিয়াছে এই ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের।

সৌজন্যে: দৈনিক ইত্তেফাক

শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038058757781982