করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের ভাসমান দোকানপাট বন্ধ, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, বহিরাগত প্রবেশও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসের কিছু সড়কে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। নীলক্ষেত মোড়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ, স্বাধীনতা সংগ্রাম চত্বর, রোকেয়া হলের সামনের সড়কসহ বেশ কয়েকটি মোড় ও রাস্তায় এ ব্যারিকেড দেখা গেছে। বাঁশ দিয়ে ক্যাম্পাসের এসব সড়ক বন্ধ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম বলেন, জাতীয়ভাবে যদি সিদ্ধান্ত আসে, তাহলে তো আমরা এর বাইরে যেতে পারি না। যেহেতু জাতীয়ভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত এসেছে সেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও লকডাউন কার্যকর থাকবে। এজন্য, আগের মতো বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ, ভাসমান দোকানপাট বন্ধ, যানচলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সব কিছুতে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পাসের কিছু সড়কে ব্যারিকেড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে তিনটি বড় হাসপাতাল এবং সরকারি অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও স্থাপনা রয়েছে। ক্যাম্পাসের সবগুলো সড়ক বন্ধ করে দিলে অনেক অসুবিধা হয়ে যায়। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এজন্য আমাদের কিছুটা ছাড় দিতে হয়েছে। তবে অন্যান্য সড়কগুলোতে লকডাউন শেষ হওয়া পর্যন্ত ব্যারিকেড থাকবে এবং যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এর আগে রবিবার (৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় বহিরাগত কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও অবস্থান না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মতো জরুরি পরিসেবা ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে। জরুরি পরিসেবার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ করা হচ্ছে। জরুরি কাজে নিয়োজিতদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সীমিত পরিবহন ব্যবস্থা রাখা হবে।
এতে আরও বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত নন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করতে হবে এবং কেউ কর্মস্থল ও ঢাকা ত্যাগ করতে পারবেন না। ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।