মোহাম্মদপুর টিকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক হলেও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়। রাজশাহী সিটি করপরোশনসহ ১০টি উপজেলায় নয়টি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর শিক্ষার্থী ১৮১ জন। তবে এই বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা শেষে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারছে না ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয় সিট নেই বা ভর্তি কার্যক্রম শেষ। এনিয়ে ভর্তি বিড়ম্বনায় পড়তে এইসব বিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দৈনিক শিক্ষাকে বলছেন, প্রাথমিকে অষ্টম শ্রেণি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কম, শিক্ষার্থীও কম। কিন্তু এই সব শিক্ষার্থীদের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির কোনো কোটা নেই। তাই সুযোগ হয়ে উঠছে না সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির। ফলে ভর্তি নিয়ে এক প্রকারের সমস্যায় পড়তে হয় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।
যদিও নবম শ্রেণিতে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মেধা ভিত্তিতে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করা হয়। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে বেশ অবহেলা করা হয়। তাই ভর্তির বিষয়ে কোটা বা নীতিমালা থাকা দরকার। তাই প্রতিবছর ভর্তি বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুর টিকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবছর অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষায় ২২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। বিদ্যালয়টিতে ২০১৩ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত হয়। এছাড়া ২০১৫ সালে প্রথম জেএসসি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। প্রতিবছর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে শিক্ষার্থীরা জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মামুন-উর-রহমান দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, সরকারিভাবে এই শিক্ষার্থীদের ভর্তির নীতিমালা থাকা দরকার। এ শিক্ষার্থীরা জেএসসি পাসের পরে ভাল ফলাফল করলেও নবম শ্রেণিতে ভাল সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে পারে না। ভর্তি নিয়ে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয় অভিভাবকদের।
রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, এই শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়ে সরকারি কোনো নীতিমালা নেয়। এছাড়া নবম শ্রেণিতে ভর্তির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যা-এমন অভিযোগ তিনি শোনেন নি।