ভারতে প্রকৌশল বিদ্যায় স্নাতকদের ৬০ ভাগই বেকার - দৈনিকশিক্ষা

ভারতে প্রকৌশল বিদ্যায় স্নাতকদের ৬০ ভাগই বেকার

দৈনিক শিক্ষা ডেস্ক |

সমগ্র ভারতের বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর প্রকৌশল বিদ্যায় স্নাতক সম্পন্ন করা আট লাখ শিক্ষার্থীর অন্তত ৬০ ভাগই বেকার থাকছেন। ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ (এআইসিটিই) এ তথ্য জানিয়েছে।

এসব শিক্ষার্থীর মাত্র এক ভাগেরও কম গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্নশিপ করছেন এবং ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাকরিডেশনের (এনবিএ) মাধ্যমে দেশের ৩২০০ প্রতিষ্ঠানের মাত্র ১৫ ভাগে প্রকৌশল কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।

সারাদেশে কারিগরি শিক্ষার মানের এ তারতম্যের কারণে স্নাতক শেষ করলেও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী চাকরির যোগ্য হয়ে উঠছেন না। ফলে এ অবস্থা বদলাতে ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (এমএইচআরডি) ভারতের কারিগরি শিক্ষা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

এর অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একক জাতীয় ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে দেশটি। এছাড়া কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বাৎসরিক প্রশিক্ষণ ও নির্ধারিত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক এবং নির্ধারিত সময়েই পাঠ্যসূচি শেষ করানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এমএইচআরডির এক সিনিয়র কর্মকর্তার মতে, প্রকৌশলের ভর্তি পরীক্ষা ‘এনইইটিআই’ এরপর থেকে ‘ন্যাশনাল টেস্টিং সার্ভিস’ (এনটিএস) কর্তৃক পরিচালিত হবে, যা হবে সম্পূর্ণ কম্পিউটারনির্ভর। ২০১৮ সালের শুরুতে এই দায়িত্বের সঙ্গে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাও ‘এনইইটি’ সম্পাদন করবে এনটিএস। এসব পরীক্ষা বছরে একাধিবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সূত্র। এছাড়া এনটিএস দেশের আইআইটির ভর্তি পরীক্ষাও পরিচালনা করবে।

এ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকৌশলের প্রথম পরীক্ষা ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বা ২০১৮ এর জানুয়ারিতে, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা মার্চে এবং শেষ ধাপের পরীক্ষা মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে।

এআইসিটিই দেশটির কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, এতে করে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের হার ৪০ থেকে ৬০ ভাগে উন্নীত করা সম্ভব হবে। এছাড়া ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপেরও ব্যবস্থা হবে।

এদিকে, এআইসিটিইর লক্ষ্য ২০২২ সালের মধ্যে এনবিএর মাধ্যমে কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ৫০ ভাগ কোর্স প্রোগ্রাম চালু করা। আরও রয়েছে, এমএইচআরডি স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা এবং অন্য সব প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করা।

কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি বছর পাঠ্যসূচিতে উপযুক্ত পরিবর্তন আনতে হবে এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই ডিসেম্বরে তা শেষ করতে হবে।

এরইমধ্যে এআইসিটিই দেশের সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত উদ্যোগ বাস্তবায়নে কর্মপরিবল্পনা প্রণয়ন ও যথাযথ অর্থায়নের মাধ্যমে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনের কথা জানিয়েছে।

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038700103759766