ভারতে মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা পেছাল | ভারতের শিক্ষা নিউজ

ভারতে মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা পেছাল

ভারতে করোনা সংক্রমণের দৈনিক সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। করোনার কারণে একের পর এক পরীক্ষা বাতিল করেছে দেশটি। সিবিএসইর দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়েছে। এবার পিছিয়ে গেল সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিকেল প্রবেশিকা (নিট-স্নাতকোত্তর) পরীক্ষা।

ভারতে করোনা সংক্রমণের দৈনিক সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। করোনার কারণে একের পর এক পরীক্ষা বাতিল করেছে দেশটি। সিবিএসইর দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়েছে। এবার পিছিয়ে গেল সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিকেল প্রবেশিকা (নিট-স্নাতকোত্তর) পরীক্ষা। কমপক্ষে চার মাসের জন্য সেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যে স্বাস্থ্যকর্মীরা ১০০ দিনের করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত ডিউটি করবেন, তাঁদের সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্র অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জানিয়েছে দেশটির সরকার। প্রবেশিকা নিট পরীক্ষা পিজি-২০২১ প্রায় চার মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভির ।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

আগামী ৩১ আগস্টের আগে এ পরীক্ষা হচ্ছে না বলে গতকাল সোমবার জানিয়ে দিয়েছে দেশটি। পরীক্ষার এক মাস আগেই নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। জানানো হয়েছে, এ পদক্ষেপের ফলে আরও বেশিসংখ্যক চিকিৎসক করোনা ডিউটির জন্য উপস্থিত থাকতে পারবেন। যে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে চান, তাঁদের অবশ্যই এই নিট পরীক্ষায় বসতে হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিয়োজিত আছেন মেডিকেলের কর্মীরা। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে কমপক্ষে চার মাসের জন্য নিট পিজি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গত ১৮ এপ্রিল এ পরীক্ষাটি হওয়ার কথা ছিল। সারা দেশে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের জেরে ও পরীক্ষার্থীদের দাবি মেনে এই পরীক্ষা পিছিয়ে দিল মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ করা হয়েছিল।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

মূলত এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসকেরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাই এই পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার ফলে আরও বেশিসংখ্যক ডাক্তার অথবা সদ্য ডাক্তারি পাস করা পড়ুয়াদের করোনা পরিস্থিতিতে আরও বেশি সংখ্যায় পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চিকিৎসকেরা এমডি/এমএস/পিজি ডিপ্লোমার মতো বিভিন্ন বিষয়ের ওপর স্পেশালাইজেশন কোর্সে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।

ভারতে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাসপাতালে তিল ধরানোর জায়গা পর্যন্ত নেই। এমন সময়ে পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়ে আপাতত করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের সংখ্যায় কমতি রুখল কেন্দ্র।