খুলনার দিঘলিয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে তিন বন্ধু। এ ঘটনায় সোমবার বিকালে দিঘলিয়া থানায় ধর্ষণ মামলার পর পুলিশ শাহিন (২৬) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। অসুস্থ ওই স্কুলছাত্রীকে সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, দিঘলিয়ার চন্দনিমহল এলাকায় একই বাড়ির ভাড়াটিয়া শরিফুল ইসলাম (৩০) বিভিন্ন সময়ে কৌশলে ওই মেয়ের আপত্তিকর ছবি তোলে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাড়ি থেকে শরিফুলকে বের করে দেয়া হয়। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি (ভালোবাসা দিবসে) শরিফুল মোবাইল ফোনে স্কুলছাত্রীকে ওইসব ছবি ফেরত দেয়ার কথা বলে ফুলবাড়ীগেট এলাকায় ডেকে নেয়।
সেখান থেকে চন্দনিমহলে শরিফুলের নতুন ভাড়া বাসায় নিয়ে মেয়েটিকে শরিফুলসহ তার দুই বন্ধু শাহিন এবং কাজল সারারাত.ধর্ষণ করে। পরের দিন ১৫ই ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের জানালে তারা শরিফুলের সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করেন।
কিন্তু একটি পক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে। এরই মধ্যে সোমবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়েটিকে নিয়ে স্বজনরা দিঘলিয়া থানায় হাজির হয়। পরে মেয়েটির আত্মীয় বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে হেফাজতে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
তবে ধর্ষণের দৃশ্য ধারণকারীকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে ভিডিওটি গায়েব করে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। শাহিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে শরিফুলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন। পরে বলেন, তদন্তে দেখা যাবে কে কে জড়িত রয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।