ভুলে ভরা পদোন্নতির খসড়া তালিকা, এসিআর শাখার গাফেলতিতে শিক্ষকদের ভোগান্তি - দৈনিকশিক্ষা

ভুলে ভরা পদোন্নতির খসড়া তালিকা, এসিআর শাখার গাফেলতিতে শিক্ষকদের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

হাজারো ভুল ধরা পড়েছে সদ্য প্রকাশিত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য তৈরি করা খসড়া তালিকা। তালিকায় কমপক্ষে হাজারখানেক ভুল রয়েছে। ঠিকঠাকমতো জমা দিলেও কারো এসিআর নেই, আবার কারো প্রতিস্বাক্ষরকারী সীল নেই, পাঁচ বছর আগের কর্মস্থল দেখাচ্ছে এমন হরেকরকম ভুল। যারা অধিকাংশেরই দায় সংশ্লিষ্ট্ কর্মকর্তার না। তবু ভোগান্তিটা তাদেরই হবে। এসবের জন্য অধিদপ্তরের কলেজ শাখা ও এসিআর শাখার কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, উদাসীনতা ও গাফেলতিকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগকারীরা সহকারি থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিযোগ্য। নাম না প্রকাশের শর্তে তারা দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কেউ কেউ ফেসবুকে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখায় কর্মরত সহকর্মীদের  অদক্ষতার কথা লিখেছেন।

এসিআর সংশোধনে যাতায়াত বাবদ কোটি টাকা খরচের শঙ্কা  | ছবি : ফেসবুক

জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সহকারি অধ্যাপকদের সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির লক্ষ্যে তৈরি করা খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে অধিদপ্তর।  ভুল বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে তা ৬ মার্চের মধ্যে কলেজ শাখায় জানাতে বলা হয়েছে। তালিকা প্রকাশের পরপরই একে একে ধরা পড়েছে ভুলগুলো।  তালিকার মন্তব্যের ঘরে দেখা যাচ্ছে শুধু লিখে রাখা হয়েছে, অমুক সালের এসিআর নেই, অমুক সালে বিরুপ মন্তব্য ইত্যাদি। দায়সারা কাজ।   

একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মাউশি অধিদপ্তরের এসিআর শাখা বন্ধ করে দেয়া উচিত, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের এসিআর চায় ২০২০-এ। চাইলেই এসিআর তৈরি করা যায় না। প্রতিস্বাক্ষরকারীর কেউ মারা গেছেন, কেউ বিদেশে ইত্যাদি..’ 

মাউশির এসিআর শাখা বন্ধ চান বিক্ষুদ্ধরা | ছবি: ফেসবুক

আরেকজন লিখেছেন, ‘ সব কর্মকর্তার এসিআর সংশোধনের জন্য যাতায়াত বাবদ কমপক্ষে এক কোটি টাকা খরচ হবে। উইথ আনলিমিটেড হ্যারাসমেন্ট।’ 

সাজেদা পারভীন ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। সেই সময়ে তার এসিআরে  লেখা ছিলো ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম অংশের আংশিক এসিআর নেই। সেটি জমা দেয়ার পরই পদোন্নতি দেয়া হয়েছিলো সাজেদাকে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খসড়া তালিকার মন্তব্যের ঘরে লেখা আছে সেই এসিআর নেই। কর্মস্থল দেখাচ্ছে ২০১৬-তে যেখানে ছিলো সেখানেই। তাহলে প্রশ্ন আসে সেই সময়ে পদোন্নতি দেয়া হলো কোন এসিআর দেখে? 

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় - dainik shiksha অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ - dainik shiksha চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ - dainik shiksha শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি - dainik shiksha সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.017596960067749