ভূমিকম্প: ১৮ ঘণ্টা পর মাসহ তিন শিশু জীবিত উদ্ধার | বিবিধ নিউজ

ভূমিকম্প: ১৮ ঘণ্টা পর মাসহ তিন শিশু জীবিত উদ্ধার

শুক্রবার বিকেলে গ্রিস ও আনাতোলিয়া উপদ্বীপ সংলগ্ন এজিয়ান সাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের ইজমির শহর ও প্রতিবেশী গ্রিসের সামোস দ্বীপে আঘাত হানে। এর ১৮ ঘণ্টা পর শনিবার ধ্বংসস্তূপ থেকে তুর্কি তিন শিশু ও তাদের মাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শুক্রবার বিকেলে গ্রিস ও আনাতোলিয়া উপদ্বীপ সংলগ্ন এজিয়ান সাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের ইজমির শহর ও প্রতিবেশী গ্রিসের সামোস দ্বীপে আঘাত হানে। এর ১৮ ঘণ্টা পর শনিবার ধ্বংসস্তূপ থেকে তুর্কি তিন শিশু ও তাদের মাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়ার পর ধ্বংসস্তূপের নিচে ১৮ ঘণ্টা আটকা পড়েছিলেন মা ও তার তিন শিশু। তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আরও এক শিশুকে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। শুক্রবারের ওই ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

শক্তিশালী ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এজিয়ান উপকূল সংলগ্ন বন্দরনগরী ইজমিরের অন্তত ২০টি ভবন ধসে পড়েছে। ইজমিরে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের একদিন পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আজ আরও অনেক মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্পটি তুরস্ক ছাড়াও নিকটবর্তী গ্রিসের সামোসে আঘাত করে।

তুর্কি পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী মুরাত কুরুম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত আনুমানিক একশ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইজমিরের কর্মকর্তারা বলছেন, শহরটির ২৫ জন মানুষ শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে গ্রিসের সামোস দ্বীপের ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন ৮০০ এর বেশি মানুষ। ইজমির শহরে ত্রাণকর্মীরা ভেঙে পড়া কংক্রিটের টুকরোর মধ্য থেকে মানুষজনকে টেনে বের করছেন। এরই মধ্যে শহরে ৫২০ বার ভূমিকম্প পরবর্তী মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। ফলে উদ্ধার তৎপরতা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।