যশোর জেলা ছাত্র শিবিরের ২৩ জন শীর্ষ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে মনিরামপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা হায়াতপুর হাফিজিয়া মাদরাসার একটি কক্ষ থেকে তাদেরকে আটক করে।
মনিরামপুর থানার ওসি তদন্ত এনামুল হক জানান, আটকের সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪টি বোমা ও তাদের সাংগঠনিক কিছু বই-পুস্তক জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হচ্ছে যশোর পূর্ব শাখা প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ (২৪), যশোর মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের আইনের ছাত্র শামীম হোসেন (২৬), চুকনগর কলেজের প্রভাষক মনিরুল ইসলাম (৩০), কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ি গ্রামের হাবিব হাসান (১৫), ভাল্লুকঘর গ্রামের বিল্লাল হোসেন (১৯), মির্জানগর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (২৫), মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের রাসেল কবির (১৭), হানুয়ার গ্রামের এনামুল (১৮), খালিয়া গ্রামের আবু মুছা (১৯), শ্যামকুড় গ্রামের আহাদ (২৭), নোয়ালী গ্রামের সাজিম হোসেন (১৫), নেংগুড়াহাট গ্রামের ইয়াছিন আরাফাত (১৬), শাহপুর গ্রামের নাজমুস সাকিব (১৮), খেদাপাড়ার গোলাম আযম (২১), গালদা গ্রামের খালিদুর রহমান (২০), পারখাজুরা গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২১), রোহিতার মাহাফুজ (১৯), হাজরাকাটি গ্রামের মেহেদী (২০) ও বাপ্পি হোসেন (১৮), রতেœরশ্বরপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম (১৮) ও ই¯্রাফিল হোসেন (১৭) এবং মদনপুর গ্রামের মাছুম বিল্লাহ (২৬)।
থানার ওসি তদন্ত এনামুল হক বলেন, একদল শিবিরের সাথী-কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনায় হায়াতপুর মাদরাসা কক্ষে গোপন বৈঠক করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সহকারী পুলিশ সুপার (মণিরামপুর) রাকিব হাসান, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম, এসআই জহির রায়হানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। বিকেল ৫টার সময় এ রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি তদন্ত এনামুল হক।
তবে, উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. লেয়াকত হোসেন জানান, রমজান মাসে রোজা রাখার ফজিলত ও আকিদা সম্পর্কে কিছু আলোচনা চলছিল। এমন সময় অভিযান চালিয়ে মনিরামপুর থানা পুলিশ তাদের আটক করেছে। একটি সূত্রে জানা গেছে আটক ২৩ জনের মধ্যে মনিরুল ইসলাম কলেজ শিক্ষক। এছাড়া অন্য সকলেই বিভিন্ন কলেজ-মাদরাসার ছাত্র।