একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য-সচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী। তিনি কিশোরগঞ্জ পৌর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ।
আজ রোববার (১১ নভেম্বর) সকালে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ অফিস থেকে ত্রিশ হাজার টাকা ফি দিয়ে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। এরপর বিকেলে ফরম পূরণ করে জমা দেন। শরীফ সাদীর পিতা আশরাফ উদ্দিন স্থানীয় আজিম উদ্দিন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সময়ে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের এমপি নির্বাচিত হন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে ওই আসনে উপনির্বাচন হয়। বাকশাল থেকে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
১১ নভেম্বর দৈনিক শিক্ষাকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় শরীফ সাদী বলেন, আমাদের এই আসনের অবিসংবাদিত নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আশরাফ ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা যদি নির্বাচনে অংশ নেয়ার উপযোগী হয় তবে আমি আমার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে আগের মতোই আশরাফ ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়বো।
জানা যায়, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ১৯ নভেম্বর। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিন ২৯ নভেম্বর।
১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে এরশাদের সামরিক আইন ভঙ্গ করে মিছিল করার অপরাধে এম এল আর ১৫ ও ১৭ ধারার এবং বাংলাদেশ দণ্ড বিধির ১২১ ক ধারায় তৎকালীন ছাত্রনেতা অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহে ৩ নং সামরিক আদালতে সোপর্দ করা হয়। ময়মনসিংহ কারাগারে তিনি দীর্ঘদিন রাজবন্দি ছিলেন। তার পিতা মরহুম অশরাফ উদ্দিন মাস্টার ছিলেন একজন ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর একজন একনিষ্ঠ কর্মী।
৭৫ এ বাকশাল গঠিত হওয়ার পর কিশোরগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে একজন স্কুল শিক্ষক আশরাফ মাস্টার এমপি হিসাবে নির্বাচিত হন। তার সন্তান অধ্যক্ষ শরীফ সাদী বলেন, এই আসনের এমপি ছিলেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, আমার পিতা আশরাফ উদ্দিন মাস্টার । এই আসনের বর্তমান এমপি সৈয়দ আশরাফ। সাবেক এমপি পিতা আশরাফ, বর্তমান এমপি নেতা আশরাফ আমার আর্দশ।
অধ্যক্ষ শরীফ সাদী বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। শহরে প্রতিষ্ঠিত একটি কলেজ পৌর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ । কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসাবে শরীফ সাদীর একটি ভাবমুর্তি গড়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন তিনি শিক্ষকে আনন্দলনে যুক্ত ছিলেন ফলে সব শিক্ষক সমাজের মাঝে একটি ইতিবাচক ভাবমুর্তি তৈরি হয়েছে। কিশোরগঞ্জে পরিবেশ আনন্দলনে তিনি সন্মুখ সারীর একজন নেতা।